কেশবপুর সংবাদ সম্মেলনে জেলা পরিষদ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ পৌর মেয়রের

0

স্টাফ রিপোর্টার,কেশবপুর (যশোর)॥ কেশবপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম  রোববার দুপুরে কেশবপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে তিনি উল্লেখ করেন বাংলাদেশের প্রতিটি জাতীয় দিবস এবং ঈদ, পূজা ও বড়দিনে রাষ্ট্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী সকল পৌরসভা তোরণ, ব্যানার ও ফেস্টুন তৈরি করে। ঐতিহ্যগতভাবে কেশবপুর পৌরসভাও এ কাজটি করে থাকে। গত ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে শহরের ত্রিমোহিনী মোড়ে পৌরসভার পক্ষ হতে তোরণ তৈরি করা হয়। সদ্য নির্বাচিত জেলা পরিষদ সদস্য টিপু সুলতান ওই তোরণ দখল করে সেখানে বর্তমান স্বতন্ত্র এমপি মো. আজিজুল ইসলামের ছবি সম্বলিত ব্যানার টাঙিয়ে দেন। কেশবপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক পৌর শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় প্রতি বছরের ন্যয় এবারও ৫টি তোরণ তৈরি করা হয়। গত ৬ এপ্রিল দুপুরে সদ্য নির্বাচিত জেলা পরিষদের সদস্য মো. টিপু সুলতান ও জনৈক মো. রকিসহ ১০/১৫ জন ওই তোরণে লাগানো ব্যানারা ছিঁড়ে ফেলেন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি পায়ের তলায় পিষ্ট করেন এবং ডেকোরেটর মালিক পবিত্র সাহাকে ফোন করে কেশবপুর পৌরসভার বকুলতলায় ডেকে নিয়ে ব্যাপকহারে মারধর করেন। পৌরসভায় বাস্তবায়ধীন ডেলটা প্লান অব বাংলাদেশ আরবান ডেমোনেস্টেটর প্রকল্পে কাজে নিয়োজিত ঠিকাদার মো. মুরানাইজানেন জুয়েল ও পৌরসভার ট্রাক ড্রাইভার নাজমুল হোসেনকে ডেকে নিয়ে ব্যাপক মারধর করে। ঠিকাদার মো. মুরাদ হোসেন জুয়েল ও পৌরসভার ট্রাক ড্রাইভার নাজমুল হোসেন বলেছিলের আমরা রোজা আছি। একথা বলার সাথে সাথে তাদেরকে আরও ব্যাপকভাবে মারধর করেন।
এদিকে কেশবপুর পৌরসভার ট্রাকচালক নাজমুল সরদারকে মারধরের ঘটনায় রোববার সকালে পরিচ্ছন্নকর্মীরা কেশবপর প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। এ ঘটনায় জড়িত দুই জনকে পুলিশ আটক করেছে।
পৌরসভার পরিচ্ছন্নকর্মীরা জানান, আমাদের সহকর্মী নাজমুল সরদারকে জেলা পরিষদের আট নম্বর ওয়ার্ড সদস্য টিপু সুলতানসহ কয়েকজন মারধর করেন। এ ঘটনায় জড়িতদের আটক না করা পর্যন্ত তারা আবর্জনা পরিষ্কার করবেন না। জেলা পরিষদের সদস্য টিপু সুলতান সাংবাদিকদের এ ঘটনায় তিনি জড়িত নন বলে জানিয়েছেন।
কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ জহিরুল আলম বলেন এ ঘটনায় জেলা পরিষদের সদস্য টিপু সুলতান ও জড়িতদের নামে থানায় মামলা হয়েছে। এরশাদ ও রকি নামে ২ জনকে আটক করা হয়েছে। অপর আসামি আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।