যারা ফৌজদারি অপরাধ করছে তারা কে কি মূল বিষয় নয়,যশোরের পুলিশ সুপার

0

স্টাফ রিপোর্টার॥ যশোরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির প্রেক্ষিতে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করেছে পুলিশ। এরই মধ্যে যশোর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও জেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জাহিদ হোসেন মিলন ও তার ৩ সহযোগী মদ্যপ অবস্থায় পুলিশের হাতে আটক হন। আলোচিত ওই পৌর কাউন্সিলরকে আটকের পর আওয়ামী লীগের এমপি কাজী নাবিল আহমেদ গ্রুপের লোকেরা পুলিশের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চালদারেরর অনুসারীরাও পাল্টা সন্ত্রাস বিরোধী কর্মসূচি পালন করছেন।
আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে শহরময় উত্তপ্ত অবস্থা বিরাজ করছে। এরই মধ্যে রোববার দুপুরে নিজ কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে জেলার সার্বিক আইন- শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) প্রলয় কুমার জোয়ারদার। সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিলো, পুুলিশের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের একটি গ্রুপের অনুসারী কতিপয় জনপ্রতিনিধির অবস্থানের কারণেই কী এই মতবিনিময় এবং পুলিশ ও জনপ্রতিনিধি সাংঘর্ষিক অবস্থানে কি-না ? পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার এর কোনোটাই সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন। মতবিনিময় সভায় পুলিশ সুপার বলেন, তিনি যোগদানের পর থেকেই ৩ মাস অন্তর সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করে আসছেন। এরই অংশ হিসেবে আজকের এই মতবিনিময়।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতিতে পুলিশের ব্যাপক ধরপাকড় বিশেষ করে পৌর কাউন্সিলর আলোচিত জাহিদ হোসেন মিলনকে আটকের প্রসঙ্গ সম্পর্কে পুলিশ সুপার বলেন, পুলিশের কাজ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা বিধান। পুলিশের অবস্থান কোনো জনপ্রতিনিধি বা রাজনীতিকের বিরুদ্ধে নয়। চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, চোরাচালানীসহ সব ধরনের অপরাধীর বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। এখানে কোনো জনপ্রতিনিধি বা রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচ্য বিষয় নয়। যারা ফৌজদারি অপরাধ করছে তারা কে কি মূল বিষয় নয়। যে অপরাধ করবেন তাকেই আটক করবে পুলিশ। তিনি বলেন, অপরাধীদের অন্য কোনো পরিচয় থাকেনা। যিনি অপরাধ করবেন তিনিই অপরাধী। যারা চোরাচালানী, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের মদদদাতা এবং সহায়তা করেন তারাও অপরাধী। অপরাধ করার কারণে পুলিশ একজন আইনজীবীকেও আটক করেছে। মতবিনিময়সভায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নের জন্যে পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের সহায়তা কামনা করেন।
মতবিনিময়সভায় অন্যন্যের মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন, ডিবি পুলিশের ওসি রুপন কুমার সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।