শীতে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে রোগী বাড়লেও মিলছে না ওষুধ

0

বিএম আসাদ ॥ যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ওষধ সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। শীতে রোগী বাড়লেও তারা পাচ্ছে না প্রয়োজনীয় ওষুধ।
গত বুধবার এ হাসপাতালে ৪১০ জন শিশুসহ মোট ১ হাজার ৩১০ জন রোগী বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছে। এর আগে রোগী অনেক কম ছিল। শীতের কারণে তাদের সংখ্যা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু মিলছে না ওষুধ। হাসপাতালের বহির্বিভাগে আসা রোগী ও কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, চক্ষু বিভাগে ওষুধ সংকট বেশি। সেখানে রোগীরা কোন ওষুধ পান না। শিশু বহির্বিভাগেও একই অবস্থা। তাদের ভাল কোন ওষুধ নেই। শুধু সাসপেনশন-সেফ-থ্রি ৫০ এমএল, জিংক সিরাপ ও সালবিউটামল সিরাপ দিয়ে শিশু রোগীদের বিদায় করা হচ্ছে আগে। প্যারাসিটামল সিরাপ, হিস্টাসিন সিরাপ, এমোক্সাসিলিন, এমব্রোস্কাল সিরাপসহ বিভিন্ন প্রকার ওষুধ দেওয়া হতো শিশুদের। সংকট থাকায় বহির্বিভাগ থেকে ওইসব ওষুধ দেওয়া হচ্ছে না। বয়স্ক রোগীদের ট্যাবলেট ফেক্সোফেনাডিন, মেট্রোনিডাজল, কার্ডন, লিভোক্সিন, এসপিরিন, মেটফরমিন, স্লিকাজিড ট্যাবলেট নেই বহির্বিভাগে।
বহির্বিভাগে সরবরাহকৃত ওষুধের তালিকা থেকে জানা গেছে, পূর্বে রোগীদের ৪২ আইটেমের ওষুধ সরবরাহ করা হতো। ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময় পর্যস্ত রোগীরা যথেষ্ঠ ওষুধ পেয়েছেন। এরপর ক্রমান্বয়ে ওসুধ সরবরাহ কমতে থাকে। বর্তমানে তা কমতে কমতে ১৬ প্রকার এসে দাঁড়িয়েছে। যেসব ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে তার বেশিরভাগই রোগীদের প্রয়োজন হয় না। এখন ঠান্ডার সময় ফেক্সোফেনাডিন প্রয়োজন ৯০ ভাগ রোগীর। অথচ সেটি নেই। এ রকম গুরুত্বপূর্ণ অনেক আইটেমের ওষুধ নেই হাসপাতালে। পরিস্থিতি সামাল দিতে রোগীদের এক পাতা করে গ্যাসের ওষুধ দিয়ে বিদায় করা হচ্ছে। ফলে রোগীদের বাইরের ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনতে হচ্ছে। সেখানে ওষুধের মূল্য বেশি হওয়ায় গরিব রোগীরা বিপাকে পড়ছেন।
এদিকে প্রচন্ড ঠান্ডায় শিশু ও বয়স্ক লোকজন শীতজনিত নানা রোগে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। হৃদরোগ, কার্ডিয়াক, নিউমোনিয়া কাশি ও ডায়রিয়া বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ অবস্থায় দেখা দিয়েছে ওষুখ সংকট।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. হারুন-অর-রশিদ ও আরএমও ডা. পার্থ প্রতীম চক্রবর্তীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, আগের টেন্ডার বাতিল হয়ে গেছে। এ কারণে ওষুধ কেনা যায়নি। আবার নতুন টেন্ডার হয়েছে। ঠিকাদার নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। তাড়াতাড়ি ওষুধ পাওয়া যাবে।