যশোরে চারটি বেসরকারি হাসপাতালকে জরিমানা ও একটি বন্ধ ঘোষণা

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে  বৃহস্পতিবার যশোর শহরের ৫টি বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে অভিযানে জরিমানাসহ একটি হাসপাতাল সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। অপর ৩টি জরিমানা ও একটিকে সতর্ক করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন যশোরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাবিদ হোসেন। অভিযানে দেখা যায় যশোর শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোডে আধুনিক হাসপাতালের হালনাগাদ কোন নিবন্ধন নেই। প্যাথলজি বিভাগে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার অভাবসহ নানা অসঙ্গতি দেখতে পান ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ কারণে প্যাথলজি বিভাগের জন্যে ৫ হাজার টাকা জরিমানা নিবন্ধন না থাকায় হাসপাতালটি সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয়া হয়। এ সময় ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৯ জন রোগীকে আগামী রোববারের ভেতর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সহায়তায় যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে স্থানান্তর করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এর আগে শহরের ঘোপ নওয়াপাড়া রোডে পপুলার মেডিকেল সার্ভিসেস এবং ল্যাবজোন স্পেশালাইজড হাসপাতালে অভিয়ান পরিচালনা করা হয়। আদালত ল্যাবজোন হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার বন্ধ ও প্যাথলজি বিভাগ অপরিস্কার দেখতে পায়। ফ্রিজে পাওয়া যায় খেজুরের রস। পপুলার মেডিকেল সার্ভিসেস পরীক্ষা-নিরীক্ষার মূল্য তালিকা সঠিক না থাকা ও প্যাথলজি বিভাগ অপরিষ্কার থাকার কারণে প্রতিষ্ঠানকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। পালবাড়ী হাসিনা ক্লিনিক অ্যান্ড নার্সিং হোমের লাইসেন্স নবায়ন না থাকা এবং প্যাথলজি বিভাগ পরিষ্কার থাকায় জরিমানা করা হয় ৫ হাজার টাকা। ৪টি প্রতিষ্ঠানে মোট জরিমানা করা হয় ২০ হাজার টাকা। এছাড়া পুরাতন কসবায় জেনেসিস হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে সেখানে ওটিতে প্রয়োজনীয় লাইট না থাকায় স্বত্বাধিকারী ডা. মো. ইকবাল হোসেনকে সতর্ক করা হয়।
যশোর সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি সদর উপজেলা স্বাস্থ্য প্রকল্পের কর্মকর্তা ডা. মীর আবু মাউদ র‌্যাব-৬ এর এএসপি স্কোয়ার্ড কমান্ডার মো. তানভীর ফয়সালসহ অন্যান্য চিকিৎসক এ সময় উপস্থিত ছিলেন। অবৈধ ক্লিনিক বন্ধে স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী এ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। অভিযান শেষে ডা. মীর আবু মাউদ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, অভিযান অব্যাহত থাকবে।