কুয়াশায় গদখলীর ফুলচাষে ক্ষতির আশংকা

0

তরিকুল ইসলাম, ঝিকরগাছা (যশোর)॥ শৈত প্রবাহ ও ঘনকুয়াশায় ফুলের রাজধানী খ্যাত যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী ও পানিসারাতে ফুলচাষে ব্যাপক ক্ষতির আশংকা করছেন চাষিরা।
সোমবার সরেজমিনে ঝিকরগাছা উপজেলার ফুলের রাজধানী খ্যাত, পানিসারা, গদখালী ও নাভারন এলাকার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, কয়েকদিনের কুয়াশায় অধিকাংশ গোলাপ ও গাঁদা ক্ষেতের ফুল নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া শীতে অসুবিধা না হলেও কয়েকদিনের ঘন কুয়াশায় গোলাপ ও গাঁদা ফুলগাছের ফুল, ডগা পচে যাচ্ছে । পাতা ঝরে যাচ্ছে।
উপজেলার হাড়িয়া নিমতলা গ্রামের কৃষক ওসমান আলী বলেন, ফুল শীতকালিন ফসল। শীতে ক্ষতি হয়না। কিন্তু কুয়াশায় সব ফুল নষ্ট হচ্ছে। হাড়িয়া বেলেমাঠ গ্রামের কৃষক আজগর আলী বলেন, তিনি আড়াই বিঘা জমিতে গোলাপ ও গাদা ফুলের চাষ করেছেন। এ বছর কয়েকদিনের তীব্র কুয়াশার কারণে ফুল নষ্ট হচ্ছে।
তিনি বলেন, তার গোলাপ বাগানের ফুল পচে যাচ্ছে। ডগা পচে যাচ্ছে। গোলাপের পাতা ঝরে যাচ্ছে। এ সময় ওই চাষিকে আগামী ফেব্রয়ারি মাসের ৩টি দিবসকে সামনে রেখে তার গোলাপ বাগানের পরিচর্যা করতে দেখা গেছে।
একই এলাকার কৃষক শাহ্জালাল বলেন, তিনি ৩ বিঘায় গোলাপ, গ্লাডিউলাস ও গাঁদা ফুলের চাষ করেছেন। কয়েকদিনের কুয়াশার কারণে পচা বা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গোলাপের পাতা পচে, ঝরে যাচ্ছে। এছাড়া ফুল, পাতা ও ডগা পচে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে পানিসারা গ্রামের ফুলচাষি ও ফুল ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন বলেন, ফুলচাষে শীত কোন অসুবিধা নয়। তবে কয়েকদিনের ঘন কুয়াশায় অনেক চাষির গোলাপ গাছের পাতা ঝরে যাচ্ছে।
হাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা ফুলচাষি ও ফুল ব্যবসায়ী সাবেক ইউপি সদস্য শাহাজাহান আলী বলেন, কুয়াশার কারণে সব ধরনের ফুলক্ষেতে ভাইরাস লাগছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামী ফেব্রুয়ারিতে ফুল সংকট দেখা দিতে পারে।
গদখালী ফুলচাষি ও ফুল ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ ফ্লাউয়ার সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রহিম বলেন, অতিরিক্ত শীত ও কুয়াশার কারণে সব ধরনের ফুল ফোটা কম দেখা যাচ্ছে। এছাড়া ফুলে স্পট দেখা দিয়েছে। এভাবে বেশিদিন চলতে থাকলে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে ফুলের উৎপাদন কম হবে। ফলে বাজারে এর প্রভাব ফেলবে। দামও বেড়ে যাবে।