প্রতিবন্ধী অঞ্জলির পাশে অভয়নগরের ইউএনও

0

স্টাফ রিপোর্টার, অভয়নগর (যশোর)॥ প্রতিবন্ধী অঞ্জলির পাশে দাঁড়ালেন অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম আবু নওশাদ। দারিদ্র্য ও প্রতিবন্ধিতাকে হার মানাতে তিনি তার জন্যে মানবিক সহায়তা দিলেন। অঞ্জলি রানী দাসের বয়স ৪০। স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারেন না। হাত এবং এক পায়ের ওপর ভর দিয়ে চলতে হয়। জন্ম থেকেই শারীরিক প্রতিবন্ধী তিনি। চিকিৎসা জোটেনি অর্থাভাবে। প্রতিবন্ধিতার জন্যে তার বিয়েও হয়নি।
যশোরের অভয়নগরের মহাকাল গ্রামের রথখোলার পাশে দাস পল্লীতে বাস করেন। পিতা বিশ্বনাথ ও মা আয়না রানীর সন্তান অঞ্জলি। অন্যের ওপর ভর করেই বেঁচে আছেন তিনি। বাবা মারা যাওয়ার পর ভাইয়ের সংসারে আশ্রিত। পরনির্ভরশীলতা তার জীবনের এক অভিশাপ। এ অবস্থা থেকে উত্তোরণে দর্জির কাছ বেছে নিয়েছেন। পুরানো মেশিন দিয়ে এলাকার মানুষের ছোটখাট সেলাইয়ের কাজ করেন। কিন্তু হাত মেশিন না থাকায় রোজগার তেমন একটা হয়না। তাই অন্যের করুণা নিয়ে তার বেঁেচে থাকা। তার অসহায়ত্বের খবর পান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম আবু নওশাদ। ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে খবর পেয়ে তিনি অঞ্জলির জন্যে তাৎক্ষণিক হুইল চেয়ার কিনে আনেন এবং রোববার তা তার হাতে তুলে দেন। তার সেলাই প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করেন। অঞ্জলি রানী সহায়তা পাওয়ার পর তার প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি বলেন, আজ আমি বড়ই খুশি। এতদিন কেউ ফিরেও তাকায়নি। ইউএনও স্যারের কাছ থেকে ২৫ বছর পর এমন একটি সহায়তা পেলাম। এখন আমি বাঁচার নতুনভাবে পথ খুঁজে পেলাম।