বাল্যবিয়ে ঠেকানো যাচ্ছে না পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে অপরিণত বয়সের দম্পতির সেবা গ্রহণ বাড়ছে

0

বিএম আসাদ ॥ যশোরে অপরিণত বয়সে বিয়ে ঠেকানো যাচ্ছে না। আইনের বাধ্য-বাধকতা এড়িয়ে অনেক কিশোর-কিশোরী অপরিণত বয়সে বিয়ে করছে। পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে সেবা নিতে আসা এ ধরনের দম্পতির সংখ্যা বেড়েছে।
জেলা পরিবার-পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিসংখ্যানে জানা গেছে, যশোর জেলায় মোট ৬ লাখ ১১ হাজার ৫শ ৫ জন সক্ষম দম্পত্তি রয়েছেন। এর ভেতর ২২ হাজার ৯শ ১৩ জন দম্পতির বয়স ২০ বছর অথবা তার নিচে ১৫ বছরের নিচে। বিয়ের পর আইনের কবল থেকে রক্ষা পেতে স্বামী ও স্ত্রী উভয় তাদের বয়স বেশি করে লিখে নেয়। তারা কখনো পরস্পরকে ভালবেসে বিয়ে করে। আবার বিয়ের পর সন্তানের ভবিষ্যত মঙ্গলের কথা চিন্তা করে উভয়পক্ষের অভিভাবক বিয়ের বিষয়টি গোপন করেন। অর্থের লোভে কাজীরাও তাদের বয়স বাড়িয়ে বিয়ে পড়িয়ে থাকে। আর অসচ্ছল দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত পরিবারের পিতা-মাতা পারিবারিক ও সামাজিক কারণে এ বিয়ে নেমে নিতে বাধ্য হয়। অপরিণত বয়স্ক ছেলে মেয়েদের যে সকল বিয়ে ধরা পড়ে প্রশাসনের কাছে ধরা পড়ে জরিমানা ও দ-াদেশপ্রাপ্ত হয়। এ সংখ্যা অনেক কম বলে সূত্র জানিয়েছেন। পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রগুলোতে এমন বয়সী অনেক বিবাহিত কিশোর-কিশোরী স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে থাকেন।
যশোর জেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের এক পরিসংখ্যানে জানা গেছে, ২০ বছরের নিচে এমন বয়সের ২২ হাজার ৯শ ১৩ দম্পতি পরিবার পরিকল্পনা সেবা গ্রহণ করেছে গত এক বছরে। এদের ভেতর ১৪ হাজার ৩শ ৪৬ জন খাবার বড়ি নিয়েছেন। প্রসব পরবর্তী ১শ ৮৩ জন প্রসব পরবর্তী খাবার বড়ি গ্রহণ করেন। ৭ হাজার ৭শ ৫১ জন স্বাভাবিকভাবে কনডম নেন। প্রসব পরবর্তী কনডম নেন ৮৬ জন। ইনজেকটেবল পদ্ধতি নেন ১শ ৮ জন। আইইউডি সেবা নেন ৯ জন। ইমপ্লান্ট পদ্ধতি গ্রহণ করেন স্বাভাবিকভাবে ৪শ জন। প্রসব পরবর্তী ইমপ্লান্ট পদ্ধতি নেন ১১ জন। এ বয়সীদের মধ্যে পরিবার পরিকল্পনা গ্রহণকারীদের মধ্যে ৩ হাজার ৬৭ জনের স্বামী বিদেশে বসবাস করেন।
বিষয়টি নিয়ে গত বৃহস্পতিবার জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ যশোরের উপ পরিচালক ডা. কাজী ফারুক আহমেদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য তার অফিসে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। সহকারী পরিচালক সাবিহা কবিরের সাথে আলাপকালে তিনি ঘটনা স্বীকার করে বলেন, অপরিণত দম্পতি স্বাস্থ্যসেবা নিতে তাদের চিকিৎসা কেন্দে্রু আসে। তাদের বয়স কম মনে হলেও তারা স্বীকার করে না। বয়স বেশি দেখিয়ে সেবা নেয়। যেখানে কিছু করার থাকে না। কাজ পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি ও স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা হয়। পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ সেটায় দিয়ে থাকে বলে জানিয়েছেন, সহকারী পরিচালক সাবিহা কবির। এদিকে জাতীয় পর্যায়ের পরিসংখ্যানে জানানো হয়েছে,. আমাদের দেশে প্রায় ৫০ ভাগ মেয়ের অপরিণত বয়সে বিয়ে হয়।