শৈলকুপায় শিবমূর্তি ভাঙা নিয়ে মন্দির কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের ভিন্ন বক্তব্য

0

শৈলকুপা (ঝিনাইদহ) সংবাদদাতা॥ ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় একটি মন্দিওে শিবমূর্তি ভাঙ্চুরের ঘটনা নিয়ে পুলিশ ও মন্দির কর্তৃপক্ষের দুই রকম বক্তব্য পাওয়া গেছে। রোববার দিবাগত রাতে উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের বিজলিয়া গ্রামের বিজলিয়া কুঠিবাড়ী কালিমন্দিরে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা ও মন্দির কর্তৃপক্ষ দুটি মূর্তি ভাঙার কথা বললেও উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ বলছে ভাঙা হয়নি, মূর্তি দুটি সরিয়ে রাখা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার ওই গ্রামের কুমার নদীর পূর্ব পাশে কালিমন্দিরটি অবস্থিত। মন্দিরের ভেতরে পাশাপাশি দুটি মূর্তি রয়েছে। এরমধ্যে একটি শিবমূর্তি ও আরেকটি ষষ্ঠীমূর্তি। শিব মূর্তিটির গলা ও ডান হাত ভেঙে বেদীর পেছনের দিকে ফেলে রাখা হয়েছে এবং ষষ্ঠী মূর্তির কোল থেকে ছোট বাচ্চার মূর্তিটি সরিয়ে মন্দিরের পেছনের দেয়ালে হেলান দিয়ে রাখা হয়েছে। মন্দিরে মূর্তি দুটির কোনো সুরক্ষা ব্যবস্থা নেই। নেই কোনো গেট বা গ্রিল। কে বা কারা রাতের অন্ধকারে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বলে মন্দির কর্তৃপক্ষের ধারণা।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মেহেদি ইসলাম ও ঝিনাইদহ জেলা পুলিশের শৈলকুপা সার্কেলের এএসপি অমিত কুমার বর্মন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শৈলকুপা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) বনি আমিন,থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঠাকুরদাশ ম-ল,উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নিলুফা ইয়াসমিন, ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
বিজলিয়া কুঠিবাড়ী কালিমন্দিরের সাধারণ সম্পাদক দীলিপ কুমার বলেন, ১০০ বছর ধরে আমাদের পূর্ব পুরুষেরা এখানে পুজা অর্চনা করে আসছেন। গতকালও দেখেছি মন্দিরের অভ্যন্তরে অবস্থিত মূর্তিগুলো ভালো ছিল আজ সকালে দেখছি মূর্তি ভাঙা। কেউ উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে এ ঘটনা ঘটাতে পারে। এর সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ন্যায় বিচার আশা করছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ মেহেদী ইসলাম বলেন,ঘটনার খবর পাওয়ার সাথে সাথেই মন্দির পরিদর্শন করেছি। এখানে মূর্তি ভাঙার ঘটনা ঘটেনি। মূর্তিটা কেউ পাশেই সরিয়ে রেখেছে। মন্দির সুরক্ষিত না থাকায় এমনটি হয়েছ্,ে অতি সত্ত্বর আমরা মন্দিরের সু রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
শৈলকুপা থানার ওসি ঠাকুর দাস ম-ল বলেন, মন্দিরে মূর্তি ভাঙার ঘটনা ঘটেনি। তবে কেউ মূর্তিটা নির্দিষ্ট জায়গা থেকে পাশেই সরিয়ে রেখেছে। মন্দির যেহেতু সুরক্ষিত না তাই আপাতত পাশেই অন্য মন্দিরে মূর্তি দুটি স্থানান্তর করা হয়েছে। মন্দিরে গেট বা গ্রিল লাগানোর পর আবার মূর্তিগুলো নির্দিষ্ট জায়গায় রাখা হবে। তবে এ ব্যাপারে মন্দির কর্তুপক্ষ মামলা দিলে মামলা নিব।