যশোরের শংকরপুরে সন্ত্রাসীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী, ৩ জনকে গণপিটুনি

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর শহরের শংকরপুরে হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি সন্ত্রাসী মুছা গংয়ের চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন এলাকাবাসী। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী মুছা গংয়ের ৩ জনকে ধরে পিটুনি দিয়েছে। চাঁদা আদায়কালে তাদের ধরে পিটুনি দেওয়া হয়। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মুছার শ্বশুরসহ দুই ব্যক্তি একইদিন রাতে কোতয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
সন্ত্রাসী মুছার শ্বশুরের নাম রওশন আলী শেখ। তিনি সন্ত্রাসী মুছাসহ দুই জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১২ জনকে আসামি করে কোতয়ালি থানায় অভিযোগ দেন। অভিযুক্ত সন্ত্রাসী মুছা শংকরপুর এলাকার হাফিজুর রহমানের ছেলে। অপর অভিযুক্তের নাম হৃদয়। সে একই এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে।
রওশন আলী শেখের অভিযোগ, উল্লিখিত সন্ত্রাসীরা তাকেসহ তার পরিবারের সদস্যদের খুন জখমের হুমকি দিয়ে আসছে। গত শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে শংকরপুরে তার বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় তারা তাকে না পেয়ে তার স্ত্রী জাহানারা খাতুন, মা মর্জিনা বেগম এবং ছোটভাইয়ের স্ত্রী আর্জিনা বেগমকে বেধড়ক মারধর করে। এছাড়া সন্ত্রাসীরা তার ঘরের ভেতর ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় এবং ২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়।
অপরদিকে সন্ত্রাসী মুছাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন একই এলাকার বেকারি ব্যবসায়ী আবু জাফর। সন্ত্রাসী মুছা ছাড়া অভিযুক্ত অপর সন্ত্রাসীরা হচ্ছে, শংকরপুরের রশিদ পকেটমারের ৩ ছেলে জনি, সোহেল ও রুবেল এবং পান্নুর ছেলে হৃদয়।
বেকারি ব্যবসায়ী আবু জাফরের অভিযোগ, শংকরপুর ছোটনের মোড়ে তার মায়ের দোয়া এন্টারপ্রাইজ নামে একটি বেকারি রয়েছে। উল্লিখিত সন্ত্রাসীরা বেশ কিছুদিন ধরে তার কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিলো। তিনি তাদের চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তারা তাকে খুন জখমসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেয়। গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে চাঁদা দাবি করে। তখন তিনি তাদের চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তারা তাকে চড়থাপ্পর মারে। এরপর তারা হুমকি ধামকি দিয়ে চলে যায়। এ ঘটনার পর থেকে তিনি আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।
এলাকাবাসী জানান, চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় লোকজন একজোট হয়ে তাদের ধাওয়া করেন। এক পর্যায়ে জনি, সোহেল ও হৃদয় নামে ৩ সন্ত্রাসীকে ধরে পিটুনি দেন ক্ষুব্ধ লোকজন।