ঝিনাইদহে ভাগ্নে হত্যার দায়ে মামার ফাঁসির আদেশ

0

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ ॥ ঝিনাইদহের মহেশপুরে ভাগ্নে হত্যার দায়ে আব্দুল জলিল সরকার নামে এক ব্যক্তির ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। সোমবার দুপুরে ঝিনাইদহের জেলা ও দায়রা জজ নাজিমুদ্দৌলা এই রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আব্দুল জলিল সরকার মহেশপুর উপজেলার ঘুগরি পান্তাপাড়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেন ওরফে দলু সরকারের ছেলে। ঘটনার পর থেকেই ঘাতক আব্দুল জলিল পলাতক রয়েছেন। ২০১৩ সালের ১০ আগস্ট রাতে আব্দুল জলিল সরকার তার ভাগ্নে সাইদুর রহমান রানাকে কুপিয়ে হত্যা করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, শিখা বেগমের সাথে রইচ উদ্দীনের ছাড়াছাড়ি হলে রানা তার নানা বাড়িতে বসবাস করতেন। নানা তার নামে কিছু জমি লিখে দেন। রানাকে জমি দেওয়া নিয়ে মামা আব্দুল জলিল সরকার তার বাবা দেলোয়ার হোসেন দলুকে প্রায় মারধর করতেন। ঘটনার দিন রাতেও বাবাকে মারধর করে ভাগ্নে রানাকে খুঁজতে থাকে জলিল। এ সময় ভাগ্নে রানা বাজার থেকে নানা বাড়ি ফিরছিলেন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই রানাকে উপর্যুপরী কুপিয়ে আহত করে জলিল। প্রতিবেশীরা মুমূর্ষু অবস্থায় রানাকে উদ্ধার করে মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় রানার বাবা শিবানন্দপুর গ্রামের রইচ উদ্দীন শ্যালক আব্দুল জলিল সরকারকে আসামি করে মহেশপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মহেশপুর থানার এসআই রইচ উদ্দীন মামলা তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২৫ জুলাই আদালতে চার্জশিট দেন। আদালত ১৬জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ফাঁসির আদেশ দেন। সরকার পক্ষে পিপি ইসমাইল হোসেন বাদশা ও আসামি পক্ষে স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী টিপু সুলতান মামলাটি পরিচালনা করেন। ঘটনার পর থেকেই মামা আব্দুল জলিল সরকার পলাতক রয়েছে।