তালায় টিআরএম’র ক্ষতিপূরণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

0

সেলিম হায়দার,তালা (সাতক্ষীরা) ॥ তালায় কপোতাক্ষ নদের জলাবদ্ধতা দূরীকরণ প্রকল্প (১ম পর্যায় ও ২য় পর্যায়)-এর আওতায় পাখিমারা বিলে বাস্তবায়িত জোয়ারাধার (টিআরএম) কার্যক্রমের বকেয়া ক্ষতিপূরণ পাওয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে পাখিমারা বিলের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জালালপুর ইউনিয়নের সাতপাকিয়া গ্রামের রবিউল ইসলাম মুক্তি।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, এ অঞ্চলের কপোতাক্ষ অববাহিকায় দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে সরকার কপোতাক্ষ নদের জলাবদ্ধতা দূরীকরণের লক্ষ্যে ২৮৬ কোটি ১১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে গত ২০১১-১২ অর্থ বছরে পাখিমারা বিলের চারিপাশে ১২,৮৭ কিলোমিটার পেরিফেরিয়াল বাঁধ নির্মাণ শুরু করে এবং ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে তা শেষ করে। ভূমি অধিগ্রহণকৃত জমির ক্ষতিপূরণ প্রদানের আশ^াস দিয়ে ২০১১ সালের পরিবর্তে ২০১৫ সালে টিআরএম প্রকল্প চালু করে। ১ম পর্যায় প্রকল্পে ৬ বছর টিআরএম চলাকালীন পাখিমারা বিলের জমির মালিকদের ফসলের ক্ষতিপূরণ বাবদ পাওয়ার কথা ছিল ৪০,০১,৪৬,৯১২ টাকা। সেখানে আমরা ফসলের ক্ষতিপূরণ বাবদ ১ম বছরে ৫,৭৫,৬৫,৯৩৯.২৮ টাকা (৮৬.৩১%) এবং ২য় বছরে পাওয়া গেছে ৪,৩৭,০৬,৮২৪.৭২ টাকা (৬৫.৫৩%) অর্থাৎ মোট ১০,১২,৭২,৭৬৪ টাকা। প্রথম ২ বছরের বকেয়া টাকাসহ পরবর্তী ৪ বছরের মোট ২৯,৮৮,৭৪,১৪৮ টাকা আমরা এখনো বুঝে পাইনি। এছাড়া ক্ষতিপূরণের টাকা উত্তোলনের জন্য সরকারের শর্তানুযায়ী এস,এ খতিয়ানের পর্চা, নামপত্তন, ক্রয়ের দলিল, পিঠ দলিল, হাল জরিপের পর্চা, খাজনা প্রদানের হাল দাখিলা, প্রাপ্য জমির হিসাব বিবরণী, নাগরিক সনদপত্র, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপিসহ ১২ রকমের কাগজ জেলা প্রশাসকের এল এ শাখায় জমা দিতে হয়। এসকল শর্ত পূরণ করা সাপেক্ষে যাদের প্রথম বছরের টাকা ছাড় করা হয়েছে তাদের অনেকে অজানা কারণে ২য় বছর টাকা উত্তোলন করতে পারেনি। অধিকাংশ কৃষকদের প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও পরবর্তী ৪ বছর (২০১৭-১৮ থেকে ২০২০-২১) তারা ক্ষতিপূরণের টাকা পায়নি এবং তাদের জমিতে ফসলও ফলানো সম্ভব হয়নি।
তিনি বলেন, ক্ষতিপূরণের টাকা বাকি থাকা অবস্থায় ২য় প্রকল্পে জন্য বরাদ্দ হয় প্রায় ৫৩১ কোটি ৭ লাখ টাকা। অথচ ২০১৩ সাল হতে আজ পর্যন্ত ১০ বছর পেরিয়ে গেলেও সরকারের পক্ষ থেকে বাকি অধিগ্রহণকৃত ক্ষতিপূরণের টাকা প্রদান করা হয়নি।
সেই জন্য আমরা এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকরা মিলে গণস্বাক্ষর দিয়ে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদনও করেছি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনো সমাধান পাওয়া যায়নি। নিরুপায় হয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।