চাকরির ১৩ বছর পর জানা গেলো শিক্ষকের বিএড সনদ জাল!

0

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ॥জাল সনদে ১৩ বছর চাকরি করার পর অবশেষে ধরা খেলেন আরজান আলী নামে এক সহকারী প্রধান শিক্ষক। তিনি বর্তমানে জোড়াদহ বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত।
ঝিনাইদহ জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে আরজান আলী হরিণাকুন্ডু উপজেলার দরিবিন্নি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে রয়েল ইউনিভার্সিটির বিএড জাল সনদ দিয়ে চাকরি শুরু করেন। এই জাল সনদ দিয়ে তিনি এতদিন বেতন -ভাতা তুলে আসছিলেন। ২০২০ সালে আরজান আলী দরিবিন্নি স্কুল থেকে জোড়াদহ বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে যোগদান করেন। যোগদানের বছর খানেক পর আরজান আলী উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএড পাসের আরেকটি সনদ জমা দেন। বিষয়টি জানাজানি হয়ে পড়লে বিভিন্ন পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। এ নিয়ে ঝিনাইদহ জেলা শিক্ষা অফিসার ও হরিণাকুন্ডু উপজেলা শিক্ষা অফিস তদন্তের উদ্যোগ গ্রহণ করে। তদন্তের অংশ হিসেবে আরজান আলীর রয়েল ইউনিভার্সিটির বিএড সনদ যাচাই বাছাই করার জন্যে মাউশিতে চিঠি পাঠানো হয়। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে আরজান আলীর রয়েল ইউনিভার্সিটির বিএড সনদ জাল বলে জানানো হয়।
হরিণাকুন্ডু উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল বারী খবর নিশ্চিত করে জানান, জাল বিএড সনদের বিষয়টি স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষককে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে। যেহেতু তারা নিয়োগ কর্তৃপক্ষ সেহেতু তারা প্রথমে সাময়িক বরখাস্ত করে চূড়ান্ত বরখাস্তের জন্যে যশোর শিক্ষা বোর্ডকে চিঠি পাঠাবে।
জোড়াদহ বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জমির উদ্দীন জানান, উপজেলা শিক্ষা অফিসারের পাঠানো চিঠির নির্দেশনা মোতাবেক আরজান আলীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এ জন্যে সোমবার স্কুল কমিটির সভা আহবান করা হয়েছে।