পাইকগাছায় ভারী বৃষ্টিতে বোয়ালিয়া বীজ উৎপাদন খামারে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি

0

এইচ. এম. শফিউল ইসলাম, কপিলমুনি (খুলনা) ॥ খুলনার পাইকগাছা উপজেলার বোয়ালিয়া বীজ উৎপাদন খামারে ভারী বৃষ্টিতে আমনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। একটানা বৃষ্টি ও ঝড়ে পাকা ধান মাটিতে পড়ে পানিতে ডুবে গেছে। ধানের কুশি ভরা ফুল ঝরে ক্ষতি হওয়ায় বীজ উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার আশঙ্কা করছে খামার কর্তৃপক্ষ।
খামার সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২০২৪ মৌসুমে খামারে ৬০ একর জমিতে আমন ধানের আবাদ করা হয়েছে।এর মধ্যে ব্রি ধান ৩০ জাতের ৩৪ একর,ব্রি ধান৭৩ জাতের ৪ একর,ব্রি ধান ৭৮ জাতের ৪ একর,ও বি আর ২৩ জাতের১৮একর জমিতে আবাদ করা হয়েছে।
গত সেপ্টেম্বর মাসের ২৮ তারিখ থেকে গুঁড়িগুঁড়ি বর্ষা শুরু হয়। তা অক্টোবরের শুরুতে থেমে থেমে বা একটানা হালকা ও ভারী বৃষ্টি ৮ অক্টোবর পর্যন্ত গিযে থামে।
এ বিষয়ে খামারের সিনিয়র সহকারী পরিচালক কৃষিবিদ নাহিদুল ইসলাম জানান, একটানা ভারী বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসে চলতি মৌসুমে ৭ একর আমন ক্ষেতের ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। খামারে ব্রি-ধান ৭৮ জাতের তিন একর জমির ধান ফুল পর্যায় থাকায় ফুল ঝরে পড়ে পরাগায়ন বিঘ্নিত হয়ে ধানের শীষে কালো স্পট পড়েছে। ব্রি ধান ৭৩ জাতের এক একর জমির পরিপক্ব ধান মাটিতে হেলে পড়েছে। বি আর ২৩ জাতের চার একর জমির ধান পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। সবেমাত্র ফুল ফুটতে শুরু করেছে। এ অবস্থায় ঝড়ো হাওয়ায় ফুল ঝরে যাওয়ায় পরাগায়ন না হলে ধান চিটা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে। তাছাড়া পুষ্ট না হলে ধান চিটা হবে। ধানের গুণগত মান নষ্ট হবে। এতে আশানারুপ বীজ উৎপাদন হবে না বলে তিনি আশঙ্কা করছেন। তিনি আরও বলেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমানোর লক্ষ্যে দ্রুত পানি নিষ্কাশন করা,নিয়মিতভাবে ছত্রাকনাশক, কীটনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। বৃষ্টির পানিতে সার ধুয়ে য়াওয়ায় গাছের জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণের অতিরিক্ত সার ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়া সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করে ক্ষতিগ্রস্ত বীজ ফসলের পরিচর্যা করা হচ্ছে।