চৌগাছায় নিয়ন্ত্রণহীন সবজির বাজার

0

মুকুরুল ইসলাম মিন্টু, চৌগাছা (যশোর) ॥ কোনভাবেই লাগান টানা সম্ভব হচ্ছে না সবজির দামের। নানা অজুহাতে হু হু করে বাড়ছে সব ধরনের সবজির দাম। দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতির বাজারে সবজি কিনতেই পকেট খালি হচ্ছে ক্রেতা সাধারণের। কিভাবে পরিবার- পরিজন নিয়ে একটু স্বাচ্ছন্দে বেঁচে থাকবেন সেই পথ খুঁজে চলেছেন সাধারণ মানুষ।
চৌগাছার প্রধান সবজি বাজারসহ গ্রামাঞ্চলের ছোটখাটো সবজি বাজারগুলোতে যেন আগুন লেগেছে। আর এই আগুনে পুড়ে ছারখার হচ্ছেন ভোক্তাসাধারণ। দিন আনা, দিন খাওয়া মানুষের অবস্থা খুবই নাজুক। নিয়ন্ত্রণহীন সবজির বাজারে গরিব মানুষেরা সবজি কিনতে এসে একেবারেই অসহায় হয়ে পড়ছেন। বর্তমানে বাজারে দাম বাড়েনি এমন সবজি খুঁজে পাওয়া মুশকিল। ব্যবসায়ীরা বলছেন বৃষ্টির কারণে কৃষকের সবজি নষ্ট হয়েছে। সে কারণে সবজির আমদানি কম। তাই দাম বেড়েছে। তবে ক্রেতা সাধারণ এই খোঁড়া অজুহাত মানতে নারাজ।
সোমবার দুপুরে চৌগাছার প্রধান সবজি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ৪০ টাকা কেজির নিচে কোন সবজি বিক্রি হচ্ছে না। এদিন বাজারে ১ কেজি ওল বিক্রি হতে দেখা গেছে ৭০ টাকায়। শিমের কেজি ১৪০ টাকা, পটল ৫০, ঝিঙে ৪৫, টমেটো ৭০, আলু ৪৫, পেঁয়াজ ৮৫, রশুন ১৯০, কাঁচামরিচ ১৬০, কচু ৯০, মিষ্টিকুমড়ো ৫০, বেগুন ৯০, মুলা ৪০, উচ্ছে ৭০, কাঁচাকলা ৫০, ধেঁড়স ৫০, পেঁপে ৪০, শশা ৫০, লাউ প্রতি পিস ৪০ থেকে ৫০, পুঁইশাক ২০ টাকা আটি এবং লাল শাক ১৫ টাকা আটি বিক্রি হচ্ছে।
বাজার করতে আসা মুক্তদাহ গ্রামের নজরুল ইসলাম, বেলেমাঠ গ্রামের শাহাজান আলী, কলেজ ছাত্রী অন্তরা খাতুন বলেন, যেভাবে সবজির দাম বেড়েছে তাতে আমাদের মত সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকা কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। ব্যবসায়ীরা যে যেমন খুশি দাম হাকিয়ে সবজি বিক্রি করছে। সংসারে যে পরিমাণ সবজির প্রয়োজন তার অর্ধেকেরও কম কিনে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে। চা বিক্রেতা বিনয় কুমার বলেন, সারাদিন চা বিক্রি করে ৩শ থেকে ৪শ টাকা আয় করি। এই টাকায় চাল কিনলে আর কিছুই থাকেনা। এবার ওষুধ থেকে শুরু করে অন্যান্য কেনাকাটা তো পড়ে থাকলো। অনেক কষ্টে বেঁচে আছি। শুধুই দেনার পাল্লা ভারি হচ্ছে।
সবজি বিক্রেতা মো. ডবলু, মঈনউদ্দিন, শুকুর আলী, মিঠু বলেন, গত কয়েক দিনের বৃষ্টিপাতে মাঠে সবজির বেশ ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টির আগে বাজারে সব ধরনের সবজির যে পরিমাণ যোগান ছিল বৃষ্টির পরে তা অর্ধেকে নেমে এসেছে। এ কারণে সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে।