পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প সরকারের দুর্নীতির আরেকটি জ্বলন্ত প্রমাণ: ড. মঈন

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাংলাদেশের মত জনঘনত্বপূর্ণ একটি দেশের জন্য অপরিণামদর্শিতার একটি জ্বলন্ত উদাহরণ মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, ভারতে তামিলনাড়ুর কুদামকুলীনে একই মডেলের ২০০০ মেগাওয়াট পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ব্যয় ৬.৭ বিলিয়ন ডলারে সম্পন্ন হলেও একই কোম্পানির রূপপুর প্রকল্পের ব্যয় দ্বিগুণেরও বেশি কেন? এটি মূলত সরকারের অব্যাহত দুর্নীতির আরেকটি জ্বলন্ত প্রমাণ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে বিএনপির মিডিয়া সেলের উদ্যোগে ‘পরিবেশ ও মানব-বিপর্যয়ের আশঙ্কা উপেক্ষা করে দুর্নীতিগ্রস্ত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ- একটি রাষ্ট্রীয় অপরিণামদর্শিতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন।
মঈন খান বলেন, আমরা মানুষের নিরাপত্তা চাই। সরকারের নিরাপত্তা নয়। আজকে সরকারের যে যাবে, তার দায়িত্ব প্রতিটি মানুষের নিরাপত্তা দেয়া। আর কোন যথার্থ বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা ছাড়াই এই প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে এখানে দুই ধরনের বিপর্যয় স্পষ্টভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছে। এক অর্থনৈতিক বিপর্যয়- যার অন্তরালে রয়েছে সীমাহীন দুর্নীতি এবং দুই, ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা।
তিনি বলেন, কতটা মূল্য দিয়ে আমরা ২৪০০ মেগা ওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র পাচ্ছি, কোন কোন যুক্তির ভিত্তিতে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হলো, সেটি একটি ব্যাপক গবেষণার বিষয়। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প যেন বাংলাদেশের দুঃশাসন ও দুর্নীতির এক জাইগান্টিক মনুমেন্ট। বিগত সময়ে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের আওতাধীন আবাসন ও বালিশকা-ের অবিশ্বাস্য দুর্নীতিই মূল প্রকল্পে দুর্নীতির ব্যাপকতা প্রমাণ করে।
ড. মঈন বলেন, ১২.৮০ বিলিয়ন ডলারের প্রাক্কলিত এই প্রকল্প নিশ্চিতভাবে ২০ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে দাঁড়াবে। যার ১২ বিলিয়নের উপর রাশিয়ার সাপ্লাই ক্রেডিট। আওয়ামী অর্থনৈতিক দুঃশাসনের অন্যতম মাধ্যম হলো- এই সাপ্লাইয়ার্স ক্রেডিট।
কিভাবে এই প্রকল্পে বিপুল ব্যয় নিরূপণ হলো, কোন অর্থনৈতিক সমীক্ষার মাধ্যমে এই ব্যয়ের বাণিজ্যিক কার্যকারিতা নিরুপণ করা হয়েছে, সেটা কখনোই জনসম্মুখে আসেনি।