কারাগারে সুচিকিৎসা না পাওয়ায় বাপ্পীর অবস্থা আশংকাজনক

0

খুলনা ব্যুরো॥ খুলনা জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খান বলেছেন, কারাগারে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এসএম মনিরুল হাসান বাপ্পী হৃদরোগে আক্রান্ত হলেও সুচিকিৎসা দেওয়া হয়নি তাকে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, খুলনা জেলা কারা কর্তৃপক্ষের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি না- ভবিষ্যতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে বাংলাদেশের মাটিতেই তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে ইনশাআল্লাহ্। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের আন্দোলন-সংগ্রামের লড়াকু সৈনিক রূপসার শ্রীফলতলা ইউনিয়নের বারবার নির্বাচিত সাবেক চেয়ারম্যান জননেতা এসএম মনিরুল হাসান বাপ্পী এখনো শঙ্কামুক্ত নন। মহান আল্লাহ্তায়ালার রহমতে দলীয় নেতাকর্মী-সমর্থক খুলনা তথা দেশবাসীর কাছে তার আশু সুস্থতায় দোয়া প্রার্থনা করছি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর কে ডি ঘোষ রোডের দলীয় কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক শফিকুল আলম মনা ও সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন।
লিখিত বক্তব্যে বিএনপি নেতা আমীর এজাজ খান বলেন, হাইকোর্টের আগাম জামিন শেষ হলে গত ২৪ এপ্রিল খুলনা জেলা জজ আদালতে হাজির হয়ে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এসএম মনিরুল হাসান বাপ্পী হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রয়োজনীয় মেডিকেল সার্টিফিকেট জমা দিয়ে জামিন আবেদন করেছিলেন। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার আজ্ঞাবহ আদালত চিকিৎসা নামের মৌলিক অধিকার ও মানবিক বিষয় বিবেচনা না করেই বিএনপি নেতা এসএম মনিরুল হাসান বাপ্পীর জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করে। গত ৩ মে খুলনা জেলা কারাগারে জননেতা মনিরুল হাসান বাপ্পী অসুস্থ হয়ে পড়লে অনেক প্রচেষ্টার মাধ্যমে জেল চিকিৎসকের দ্বারা ইসিজি করানো হয়। পরে চিকিৎসক কারাবন্দী মনিরুল হাসান বাপ্পীকে জানান তার ‘হার্ট অ্যাটাক’ হয়েছে। এরপর খুলনা জেলখানা কর্তৃপক্ষের সাথে দফায় দফায় অনুরোধ করেছি বিএনপি নেতা এসএম মনিরুল হাসান বাপ্পীকে বাইরে নিয়ে মেডিকেলে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করুন। প্রয়োজনে চিকিৎসার ব্যয়ভার আমরাই বহন করবো। কিন্তু আমাদের কোনো কথায় কর্ণপাত করলেন না; বরং খুলনা কারা কর্তৃপক্ষ কোনো প্রকার চিকিৎসা না করিয়ে বিভিন্ন অজুহাত দিয়ে এড়িয়ে যান।
তিনি আরও বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশে গত ৬ মে সন্ধ্যায় চরম অসুস্থ অবস্থায় জামিনে মুক্তিলাভ করেন জননেতা মনিরুল হাসান বাপ্পী। পরদিন ৭ মে সকালে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চেকআপ করালে, পরিস্থিতি বিপদজনক দেখে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তাকে সাথে সাথেই ভর্তি করিয়ে সিসিইউ’তে রেখে চিকিৎসা শুরু করেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসকরা জানান, গত ৩ মে (কারান্তরীণ অবস্থায়) তিনি ‘হার্ট অ্যাটাক’ করেছিলেন। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেখেই তার চিকিৎসা করানো হয়; পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্যে গত ১৩ মে সন্ধ্যায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে তাকে ভর্তি করানো হয়। সেখানে এনজিওগ্রাম করলে তার হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। কারাভ্যন্তরে হৃদরোগে আক্রান্ত হলে সাথে সাথে সুচিকিৎসা না পাওয়ায় মনিরুল হাসান বাপ্পীর অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক। পুলিশের দায়েরকৃত গায়েবী অভিযোগে রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক প্রহসনের মামলায় বিএনপির নেতাকর্মী-সমর্থকদের পুলিশি নির্যাতন ও জেলহাজতে প্রেরণ করছে আওয়ামী আজ্ঞাবহ আদালত।
জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক শেখ আবু হোসেন বাবুর সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম-আহবায়ক খান জুলফিকার আলী জুলু, এসএ রহমান বাবুল, মোল্লা মোশাররফ হোসেন মফিজ, এসএম শামীম কবির ও এনামুল হক সজল, চৌধুরী কওসার আলী, ডা. আব্দুল মজিদ, ইলিয়াস হোসেন মল্লিক, মো. হাফিজুর রহমান, জিএম রফিকুল ইসলাম, এসএম মুর্শিদুর রহমান লিটন, খন্দকার ফারুক হোসেন, রফিকুল ইসলাম বাবু, রুম্মন আজম, সরদার আব্দুল মালেক, শাহাদাত হোসেন ডাবলু, দিদারুল হোসেন, শামসুল বারিক পান্না, মোল্লা সাইফুর রহমান, আবদুল মান্নান খান, মোজাফফার হোসেন, বিকাশ মিত্র, নাদিমুজ্জামান জনি, উজ্জ্বল কুমার সাহা, খান ইসমাইল হোসেন, আজাদ আমীন, শেখ হেমায়েত হোসেন, আব্দুল মান্নান মিস্ত্রি, জিএম শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।।