সেচের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নের নোটিশ : সরকারি তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দুটি সেচ মোটরের (অ-গভীর নলকূপ) মধ্যে ১টির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার চিঠি দেওয়ার বিরুদ্ধে যশোরের কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি, পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম ও বিএডিসির কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এক কৃষক আদালতে মামলা করেছেন। আদালত তার অভিযোগ আমলে নিয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর কেশবপুর পৌর সদরের ভোগতি নরেন্দ্রপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল মাজেদের ২টি সেচ মোটরের মধ্যে ১টি মোটরের লাইন্সেস বালিতসহ তার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য একটি পত্র দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। যার স্মারক নং-০৫.৪৪.৪১৩৮.০০০.১৩.০০১.২৩.১২৮৫(২)।
এরপর আব্দুল মাজেদ গত ২৫ সেপ্টেম্বর যশোরের কেশবপুর থানা সহকারী জজ আদালতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, যশোর-২ পল্লী বিদ্যুতের কেশবপুর জোনাল অফিসের ডিজিএম এবং বিএডিসির কর্মকর্তার নামে আদালতে একটি মোকদ্দমা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ২৯৮।
মামলার আরজিতে কৃষক আব্দুল মাজেদ উল্লেখ করেছেন যে, বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত গেজেট ও প্রজ্ঞাপনের আওতায় ২০০৯ ও ২০১৪ সালে ২টি সেচ মোটরের সংযেগ নেন তিনি। এরপর থেকে নিজের এবং অন্যান্য কৃষকের প্রায় ৬৯/৭০ বিঘা জমিতে সেচের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন করে দেশের উন্নয়ন কাজে সহযোগিতা করে আসছেন। পরবর্তীতে বিধি অনুযায়ী প্রতি ৩ বছর পরপর লাইন্সেস নবায়নসহ হালনাগাদ বিদ্যুৎ বিল পরিশোধও করে আসছেন তিনি। এরই মধ্যে আব্দুল মাজেদের ২টি (অ-গভীর নলকূপ) সেচ মোটরের মধ্যে ১টির লাইন্সেস বাতিল করার জন্য গত ১৪ সেপ্টেম্বর উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতির দেওয়া পত্র, বে-আইনি ঘোষণার জন্য আব্দুল মাজেদ আদালতে একটি মোকদ্দমা দাখিল করেন। এর সাথে সাথে তার সেচ মোটরের বিদ্যুৎ সংযোগ অন্যায়ভাবে যাতে বিচ্ছিন্ন করতে না পারে তারও আবেদন করেন মোকদ্দমার বাদী। আদালত শুনানি শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম এবং বিএডিসি কর্মকর্তাকে এব্যাপারে ১৫ দিনের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে বলেছেন।
কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সেচ কমিটির সভাপতি এমএম আরাফাত হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, কৃষক আব্দুল মাজেদ আদালতে মামলা করেছেন কি-না তা আমার জানা নেই। এছাড়া আদালতের কোনো নোটিশ এখনও পাইনি। নোটিশ পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।