দুর্গোৎসব : রাজগঞ্জে মন্ডপে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ

0

ওসমান গণি. রাজগঞ্জ (যশোর) ॥ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব হলো শারদীয় দুর্গোৎসব। যষ্ঠী থেকে দশমী পূজার এই পাঁচটি দিনে ধনী-গরীব সবাই মেতে উঠেন এই উৎসবে। তাই দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে যশোরের মনিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জের মন্ডপে মন্ডপে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। চলতি বছর এই উপজেলায় ১০২টি মন্ডপে পূজা উদযাপন হওয়ার কথা রয়েছে।
সূত্রমতে, আগামী ২০ অক্টোবর থেকে ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে শারদীয় দুর্গোৎসব। তাই প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা। দিনরাত কাজ করে শিল্পীদের হাতের নিপুন ছোঁয়ায় প্রস্তুত করা হচ্ছে প্রতিমা। বর্তমানে দম ফেলার সময় নেই এ শিল্পের সাথে জড়িত কারিগরদের। সরজমিনে দেখা যায়, রাজগঞ্জ সার্বজনীন পূজা মন্দিরে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। এখন বাকি রং-তুলির আঁচড়।
খুলনা জেলার কপিলমুনি থেকে আসা প্রতিমার কারিগর শিমুল দাস বলেন, বংশ পরম্পরায় এই পেশায় জড়িত আছেন তিনি। বংশধরদের কাছেই শেখেন কাদামাটি আর খড় দিয়ে কিভাবে প্রতিমা তৈরি করতে হয়। তার তৈরি বিশাল প্রতিমাটি আর কয়েকদিন পরেই রঙ করা হবে। পাশাপাশি নির্দিষ্ট সময়ের আগেই রাজগঞ্জ সার্বজনীন পূজা মন্দিরে প্রতিমা তৈরির সকল কাজ শেষ হবে বলে জানান এই কারিগর।
রাজগঞ্জ সার্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসী সমাজসেবক সুকেশ চন্দ্র দাস জানান, চলতি বছরে তাদের পূজা উদযাপনের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। অন্য যে কোন সময়ের তুলনায় এবার আরও বেশি জাঁকজমকপূর্ণভাবে পূজা উদযাপন করা সম্ভব হবে। সেই সাথে পূজামন্ডপে এবার কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ সিসি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ মনিরামপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তরুন কুমার শীল জানান, পূজা শুরু হতে এখনও প্রায় এক মাস বাকি। এছাড়া এখনো পর্যন্ত উপজেলা পূজা কমিটির কোন আলোচনা সভা হয়নি। সভা হলেই বুঝা যাবে এবার কতটি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। তবে গতবারের তথ্য অনুযায়ী এবারও মনিরামপুর উপজেলার একটি পৌরসভা এবং ১৭টি ইউনিয়নে ১০২টি পূজামন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এর মধ্যে শুধু পৌরশহর এলাকাতেই ১০টি পূজামন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
রাজগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক বানী ইসরাইল জানান, দুর্গা পূজায় কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য তার নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা সর্বদা সজাগ রয়েছেন। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা যাতে নির্বিঘেœ মন্ডপে এসে তাদের পূজার উৎসব পালন করতে পারেন সে বিষয়ে সকল প্রকার প্রস্তুতি গ্রহন করা হবে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।