অসময়ের তরমুজ চাষে সফল শরণখোলার চাষি

0

নজরুল ইসলাম আকন,শরণখোলা(বাগেরহাট)॥ শরণখোলায় লবণাক্ত জমিতে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অফসিজন বা অসময়ের তরমুজ চাষ। ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে অফসিজন তরমুজ চাষ করে সফল হচ্ছেন সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকার চাষিরা। তাদের ক্ষেতজুড়ে ঝুলছে এখন বাহারি জাতের শ শ তরমুজ। যা অল্প কিছুদিনের মধ্যে বাজারজাত করার স্বপ্ন দেখছেন তারা।
সরেজমিন জানা যায়, লবণাক্ত জমিতে বোরো,আমন ধান চাষ করে যখন আশানুরূপ ফলন পাচ্ছিলেন না তখন বাড়ির পাশের এক একর জমিতে ধান চাষের পাশাপাশি মাছ চাষ শুরু করেন শরণখোলার রতিয়া রাজাপুর গ্রামের দরিদ্র চাষি বিপুল মাঝি। মৎস্য ঘেরের পাড়ে চাষ করেন লাউ, মিষ্টি কুমড়া,শশাসহ বিভিন্ন শাক-সবজি। বিপুল মাঝি গত বছর ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে অফসিজনে তরমুজ চাষের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। প্রথম বছর ১৭ শতক জমিতে সুগার কিং জাতের তরমুজ চাষ করে সফল হন তিনি । আট হাজার টাকা খরচ করে তার আয় হয় ৩০ হাজার টাকা।
বিপুল মাঝি জানান, এ বছর ২ একর ৩২ শতক জমিতে সুগার কিং,ইয়োলো কিং ও কালাচাঁদ জাতের তরমুজ চাষ করেছেন তিনি। গাছে ফল ধরেছে প্রায় দুই হাজার। অল্প কিছুদিনের মধ্যে তরমুজ বাজারজাত করা সম্ভব হবে। প্রতি তরমুজের গড় ওজন ধরা হয়েছে ৪ থেকে সারে চার কেজি। দুই হাজার তরমুজ বিক্রি করে তার আয় হবে প্রায় ৫ লাখ টাকা। বিপুল মাঝির গত বছরের তরমুজ চাষ দেখে একই গ্রামের অসীম কুমার,বিমল চন্দ্র,রাজুসহ অনেকেই এ বছর অফসিজন তরমুজ চাষ করেছেন। তাদের সবারই ক্ষেতে এখন ঝুলছে নানা রঙের বাহারি তরমুজ। দূর দূরান্তের লোকেরাও এসে অসময়ের তরমুজ দেখে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।
তরমুজ চাষিরা জানান, স্থানীয় কৃষি অফিস থেকে আর্থিক সহায়তা ও প্রশিক্ষণ লাভ করেছেন তারা। অফসিজন তরমুজ চাষে অল্প সময়ে অধিক লাভবান হওয়া যায় যা অন্য ফসল থেকে সম্ভব নয়। এ তরমুজ চাষ অব্যাহত থাকলে তাদের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটবে।
শরণখোলা উপজেলা কৃষি অফিসার দেবব্রত সরকার জানান, প্রশিক্ষণসহ সব ধরনের সুযোগ সুবিধা দিয়ে চাষিদের উৎসাহিত করা হচ্ছে।