যশোরে কলেজছাত্রকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় যুবক গ্রেফতার

0

 

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর শহরের বারান্দীপাড়া কদমতলায় কলেজছাত্র নাইমুজ্জামান জিতুেক (২৩) ছুরিকাঘাতের ঘটনায় তাওছির (২১) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার দুপুরে বারান্দী মোল্লাপাড়া থেকে তাকে আটক করা হয়। সে ওই এলাকার জনৈক নুর আলমের বাড়ির ভাড়াটিয়া বাদশাহর ছেলে।
পুলিশ জানায়, গত ৭ সেপ্টেম্বর বিকেলে বারান্দীপাড়া কদমতলায় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে জখম হন কলেজছাত্র নাইমুজ্জামান জিতু। এ সময় তার মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় তাওছিরসহ ৩ জনকে আসামি করে গত শনিবার নাইমুজ্জামান জিতুর পিতা পূর্ব বারান্দীপাড়ার বাসিন্দা জাকির হোসেন কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। অপর আসামিরা হলো, মোল্লাপাড়াস্থ বিসিএমসি কলেজের পাশের মতিয়ার রহমানের ছেলে শাওন আহম্মেদ টিপু (২৫) ও বারান্দীপাড়া কদমতলা ঢাকা রোড এলাকার বাবুর ছেলে দ্বীপন (২৫)। সূত্র জানায়, রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই জাকির হোসেন মোল্লাপাড়ায় অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত আসামি তাওছিরকে গ্রেফতার করেন। পরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য জাকির হোসেন রাজিব মামলায় উল্লেখ করেছেন, তার ছেলে একটি কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। আসামিদের সাথে তার ছেলের পূর্ব শত্রুতা চলে আসছিল। গত ৭ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জিতু প্রাইভেট পড়ে নিজ মোটরসাইকেলে বাড়িতে ফিরছিলো। পথে বারান্দীপাড়া কদমতলায় পৌঁছালে আসামির ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার গতিরোধ করে। এ সময় তারা তাকে এলোপাতাড়ি মারধর এবং চাকু দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। এক পর্যায়ে জিতু মাটিতে পড়ে গেলে তারা তাকে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা চালায়। এছাড়া তারা তার মোটরসাইকেলটি সম্পূর্ণ ভেঙে দেয়। এরই মধ্যে জিতুর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে আসামিরা তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন জিতুকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।