ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনালের এমরানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত আইনমন্ত্রীর

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ ‘অ্যাটর্নি জেনারেলের অনুমতি ছাড়া কথা বলে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) এমরান আহমেদ ভূঁইয়া শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়টি দেখব’ বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, তিনি অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত ডেপুটি। তিনি যদি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তবে হয় তাকে পদত্যাগ করে কথা বলতে হবে, অথবা তাকে অ্যাটর্নি জেনারেলের অনুমতি নিয়ে কথা বলতে হবে।
তিনি আরও বলেন, তিনি এমনটা করেননি। তিনি শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন। তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি আমি দেখব।
এদিকে, ডিএজি এমরান-এর বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। এ সময় তিনি বলেন, আমি নিশ্চিত তিনি কোনো পক্ষকে খুশি করতে এসব কথা বলেছেন। তাকে যদি বিবৃতিতে স্বাক্ষরের জন্য কেউ নির্দেশনা দিয়ে থাকে তাহলে তিনি আমাকে সেটা বলতে পারতেন। আমাকে না বলে স্যুট-টাই পরে সাংবাদিকদের সামনে তিনি অসত্য কথা বলেছেন।
তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এটা আইন মন্ত্রণালয়ের বিষয়। আমি শুধু রাষ্ট্রের আইন কর্মকর্তাদের মধ্যে সমন্বয় করি। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার এখতিয়ার আইন মন্ত্রণালয়ের।
এর আগে, গতপরশু সোমবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, ‘অধ্যাপক ড. ইউনূসের পক্ষে ১৬০ জনের বেশি নোবেল বিজয়ী এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অনেকেই বিবৃতি দিয়েছেন যে-ওনাকে বিচারিক হয়রানি করা হচ্ছে। সেটার বিপরীতে অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে একটি বিবৃতি দেওয়ার কথা রয়েছে। নোটিশ দেওয়া হয়েছে, অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে কর্মরত সবাইকে সেই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করার জন্য। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ওই বিবৃতিতে আমি স্বাক্ষর করব না।’
তিনি আরও বলেন, ‘১৬০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে যে বিবৃতি দিয়েছে আমি তাদের সঙ্গে একমত। আমি মনে করি ড. ইউনূস একজন সম্মানী ব্যক্তি। ওনার সম্মান হানি করা হচ্ছে এবং এটি বিচারিক হয়রানি।’
উল্লেখ্য, গত ২৭ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি সমর্থন জানিয়ে চিঠি লেখেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তার এক দিন পরই ১৬০ জন বিশ্বনেতার চিঠি নিয়ে আবারও আলোচনায় ড. ইউনূস ও আসন্ন নির্বাচন।