চৌগাছায় জাপানের জাতীয় ফল পার্সিমন চাষ

0

এম এ রহিম, চৌগাছা (যশোর)॥ যশোরের চৌগাছায় জাপানের জাতীয় ফল পার্সিমন চাষে সফলতা পেয়েছেন কৃষক জুলফিকার আলী। তিনি ৫ কাঠা জমিতে পার্সিমন চাষ করে সফল হয়েছেন। উপজেলার স্বরুপদাহ ইউনিয়নের হিজলী গ্রামের বাসিন্দা চাষি জুলফিকার আলী।
এ ফল ক্ষেতের পাশ দিয়ে কেউ হেঁটে গেলে মনে হবে গাছে ধরে আছে আপেল কিংবা গাব। কিন্তু নিকটে গেলে বোঝা যাবে এই দুটোর কোনটিই নয়, এটা অন্য ফল। বাংলাদেশের মাটিতে এখন চাষা হচ্ছে জাপানের জাতীয় ফল পার্সিমন। উপজেলার হিজলী গ্রামের চাষি জুলফিকার আলী তার ৫ কাঠা জমিতে পার্সিমন চাষ করেছেন। ৭ বছর পর এবারই প্রথম ফল ধরেছে। তার ক্ষেতে থোকায় থোকায় ঝুলে থাকা এ নতুন ফল দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিন অনেক মানুষ আসছেন। উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্য কর্মকর্তারা রাশেদুল ইসলাম বলেন, তারা নানাভাবে জুলফিকার আলীকে পরামর্শ দিচ্ছেন।
চাষি জুলফিকার আলী জানান, সাত বছর আগে নাটোর জেলা হর্টিকালচার থেকে ৩০টি পার্সিমনের চারা কিনে এনে পাঁচ কাঠা জমিতে লাগান। সাত বছর ধরে পরিচর্যা করে ২০২৩ সালে গাছে ফল এসেছে। ফলটি দেখতে যেমন সুন্দর খেতেও বেশ সুস্বাদু। তিনি এ গাছ থেকে ইতোমধ্যে চারা তৈরি করে বিক্রি শুরু করেছেন। এলাকার অনেক কৃষক এ ফল চাষে এগিয়ে আসছেন। ফলটি দেখতে অনেকটা আমাদের দেশের টমেটো ও গাবের মতো। গায়ের রং কমলা ও হলুদ রঙের মিশ্রণে দারুণ এ ফল প্রত্যেটি গাছের ডালে-ডালে থোকায় থোকায় ঝুলছে। দেখলে চোখ ফেরানো যায় না। ওজনে কেজিতে ৬/৭ টি ফল হয়। ফলটি কাটলে ভেতরে পাকা টমেটার মতোই দেখতে। ফলটির ভেতরে বীজ নেই বললেই চলে। এ ফলটি পরিপূর্ণভাবে পাকলে বাকলও খেতে দারুণ সুস্বাদু।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা চাঁদ আলী বলেন, জুলফিকার আলীর বন উন্নয়ন নামে একটি নার্সারি রয়েছে। তিনি বিভিন্ন দেশের উন্নত জাতের নতুন ফলের চারা, বীজ ও গাছ সংগ্রহ করে প্রথমে নার্সারিতে মাদার গাছ তৈরি করেন। পরে সেই মাদার গাছ থেকে চারা উৎপাদন করে নিজে নতুন জাতের আবাদ করেন ও চারা বিক্রি করে থাকেন। জাপানের জাতীয় ফল পার্সিমন তেমনই একটি নতুন জাতের ফল। আমাদের এলাকায় এটা একেবারেই প্রথম চাষ হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোসাব্বির হোসাইন বলেন, আমরা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে নতুন জাতের ফল চাষ করা চাষিদের সব সময় পাশে থেকে পরামর্শ দিয়ে থাকি।