চৌগাছায় গ্রীষ্মকালে বাঁধাকপি চাষ করে লাভের আশা কৃষকের

0

মুকুরুল ইসলাম মিন্টু চৌগাছা (যশোর) ॥ চৌগাছার কৃষকরা বাঁধাকপি গ্রীষ্মকালে চাষ করে লাভবান হওয়ার আশা করছেন। ইতোমধ্যে বেশ কিছু জমি হতে কপি তোলা শুরু হয়েছে। আগামী সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে অধিকাংশ ক্ষেতের কপি বিক্রির উপযোগী হবে বলে জানান কৃষক। বর্তমান বাজার দরে কৃষক খুশি।
চৌগাছার ফসল উৎপাদনে উপযোগী মাটিকে কাজে লাগিয়ে চাষিরা প্রতি বছর নতুন নতুন উদ্ভাবনে ব্যাপক সাফল্য পাচ্ছেন। এক দশক আগেও এ জনপদের চাষিরা বছরে সর্বোচ্চ দুটি ফসল উৎপাদন করতেন। এখন সেখানে তিনটি কখনও কখনও চারটি ফসলও উৎপাদন করছেন। এসব কিছুই সম্ভব হয়েছে কৃষকের নিরলস পরিশ্রম হতে।
শনিবার দুপুরে উপজেলার আন্দারকোটা গ্রামের মাঠে দেখা যায়, চাষিরা কপি ক্ষেত পরিচর্যা করছেন। কৃষক মতিয়ার রহমান বলেন, চলতি মৌসুমে ১ বিঘা ৫ কাঠা জমিতে তিনি বাঁধাকপির চাষ করেছেন। এ কপি মূলত শীতের সবজি। তবে গরমেও বাঁধাকপি ভালো হয়। এ বছর অতিরিক্ত গরমের কারণে কিছুটা সমস্যা দেখা দিয়েছে। তারপরও ভালো ফলনের আশা করছি। কৃষক আব্দুল্লাহ বলেন, দেড় বিঘা জমিতে সুপান সান জাতের কপির চাষ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে কপিতে পাতা বাঁধা শুরু হয়েছে। আর দুই সপ্তাহের মধ্যে বাজারজাত শুরু হবে। বর্তমানে ব্যাপক পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে মাজরা পোকার কারণে কপি সতেজ রাখা কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সে কারণে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক স্প্রে করতে হচ্ছে। প্রতিটি কৃষি উপকরণের দামের কাছে কৃষক অনেকটাই অসহায়, তাই কৃষি উপকরণের দাম কমানো জরুরি বলে মনে করেন এসব চাষি।
ওই মাঠে কৃষক মিনহাজুল ইসলাম ১ বিঘা, আব্দুস সালাম দেড় বিঘা, মিঠু ১০ কাঠা, সোহেল রানা ১০ কাঠা, মুসা খাঁ ১ বিঘা, ঝন্টু ১৫ কাঠাসহ অনেক চাষিই বাঁধাকপির চাষ করেছেন। ১ বিঘা জমিতে ৭ হাজার কপির চারা লাগানো হয়। জমি প্রস্তুত থেকে শুরু করে বাজারজাত করা পর্যন্ত কৃষকের ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা খরচ হয়। বাজারদর ভালো হলে ১ লাখ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার কপি বিক্রি হয়। বাঁধাকপি শীতের সবজি সেটি গরমে চাষ করা হচ্ছে, সে কারণে কৃষককে বাড়তি শ্রম দিতে হচ্ছে। যত পরিশ্রমই হোক না কেন ভালো দাম পেলে কোনো কষ্টই থাকে না বলে তারা জানান।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুশাব্বির হোসাইন বলেন, এ অঞ্চলের কৃষকরা নতুন নতুন ফসল উৎপাদনে বরাবরই পারদর্শী। গ্রীষ্মের বাঁধাকপি চাষে কৃষক ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। সব ধরনের চাষাবাদে কৃষি অফিস সর্বদা কৃষকের সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে।