নিম্নচাপে আবারও ইলিশ ছাড়াই সাগরকূলে ফিরে এসেছে জেলে

0

শরণখোলা (বাগেরহাট) সংবাদদাতা ॥ আবারও উত্তাল ঢেউয়ে ঠিকতে না পেরে ইলিশ আহরণে নিয়োজিত শরণখোলার সব ট্রলার সাগরে ছেড়ে কূলে ফিরে এসেছে। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ায় প্রবল বেগে বাতাস ও থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে উপকূলে। এ অবস্থায় একেকজন মহাজন ২ থেকে ৩ লাখ টাকা লোকসানে পড়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে হতাশ হয়ে পড়েছেন জেলে ও মহাজনরা।
৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে গত ২৩ জুলাই মধ্যরাতে সাগরে যান জেলেরা। পরের দিন সাগরে জাল ফেলতে না ফেলতেই দুর্যোগ শুরু হয়। প্রথম দফার ওই দুর্যোগে সব ট্রলার সাগর ছেড়ে সুন্দরবনসহ উপকূলের বিভিন্ন স্থানে নিরাপদে আশ্রয় নিয়ে রক্ষা পায়। দ্বিতীয় দফায়ও সাগর উত্তাল হওয়ায় নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরেছে শ শ ট্রলার। শরণখোলা সমুদ্রগামী ফিশিং ট্রলার মালিক সামতির সভাপতি আবুল হোসেন জানিয়েছেন, আবহাওয়া চরম খারাপ হয়ে উঠেছে। বর্তমানে সাগরে কোনও ট্রলার নেই। উত্তাল ঢেউয়ে টিকতে না পেরে সব ট্রলার পাথরঘাটার মহিপুর, চরদুয়ানিসহ উপকূলের বিভিন্ন খালে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে।
সভাপতি আবুল হোসেন আরও জানান, একদিকে দুর্যোগ, অন্যদিকে ভরা মৌসুমেও সাগর ইলিশ শূন্য। প্রথমবার দুর্যোগের পর সাগরে নেমে কোনও ট্রলারেই কাঙ্খিত ইলিশ পায়নি জেলেরা। কিছু ট্রলারে সামান্য পরিমাণ ছোট ইলিশ ধরা পড়েছে। বড় ইলিশের দেখাই মেলেনি। জ্বালানি তেল ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে একেকটি ট্রলার সাগরে পাঠাতে ২ থেকে ৩ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু ইলিশ না পাওয়ায় পুরো চালনাই লোকসান হয়েছে। শরণখোলার তিন শতাধিক ট্রলারে কম হলেও পাঁচ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে।
বাংলাদেশ ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সহ-সভাপতি এম সাইফুল ইসলাম খোকন বলেন, সাগরে কোনও ইলিশ নেই। আমার দুটি ট্রলার সাগরে গিয়ে সামান্য পরিমাণ ইলিশ পেয়েছে। তারও আকারে খুবই ছোট। আমার তাতে প্রায় ৪ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে। তার ওপর এক সপ্তাহে দুই দফা দুর্যোগে পড়ে ঠিকমতো জাল ফেলতে পারেনি জেলেরা। বর্তমানে প্রবল গতিতে ঝড় চলছে সাগরে। সাগর ট্রলার শূন্য। উপকূলের সব মহাজনই এভাবে লোকসানে পড়েছেন।
শরণখোলা উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা বিনয় কুমার রায় বলেন, বৃষ্টি না হওয়ায় ইলিশ ধরা পড়ছে না। প্রথম গোনে ইলিশ ধরা না পড়লেও হতাশ হওয়ার কিছু নেই। এখন বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। এভাবে বৃষ্টি হলে সামনের গোনে ইলিশ পাওয়া যাবে।