সহকারী লাইব্রেরিয়ানকে প্রধান পরীক্ষক নিয়োগ করেছে যশোর শিক্ষা বোর্ড!

0

কলারোয়া (সাতক্ষীরা) সংবাদদাতা ॥ কলারোয়ায় লাইব্রেরিয়ান শিক্ষক হয়ে অর্থনীতি বিষয়ের প্রধান পরীক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার হিজলদি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী লাইব্রেরিয়ান কামরুজ্জামান অর্থনীতি বিষয়ের প্রধান পরীক্ষক হিসেবে এ নিয়োগ পেয়েছেন।
জানা গেছে, এবারের এসএসসি পরীক্ষায় যশোর শিক্ষা বোর্ডের খাতা বণ্টন ও পরীক্ষক নির্বাচনে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের বিষয়টি গুরুত্ব না দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। প্রতিষ্ঠান যে সব শিক্ষকের নাম ও বিষয় প্রস্তাব করেছে, বোর্ড কোনও যাচাই ছাড়াই পরীক্ষক এবং প্রধান পরীক্ষক নিয়োগ দিয়েছে। ফলে সদ্য শিক্ষক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে লাইব্রেরিয়ান হয়েও অর্থনীতি বিষয়ের প্রধান পরীক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন কামরুজ্জামান।
সূত্র জানায়, এ বছরের ২৮ মার্চ সহকারী লাইব্রেরিয়ানরা শিক্ষক হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেন কামরুজ্জামান। এসএসসি পরীক্ষার খাতা পাওয়ার নিয়ম যিনি যে বিষয়ে পড়ান ওই বিষয়ের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে সেই বিষয়ের প্রধান পরীক্ষক হিসেবে নির্বাচিত হবেন। এছাড়া কয়েকবার পরীক্ষক হিসেবে অভিজ্ঞতা অর্জনের পর দক্ষতার ভিত্তিতে তাকে প্রধান পরীক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। প্রধান পরীক্ষক খাতা সার্বিক মূল্যায়নের পর তা আবার স্কুটিনাইজারের (নিরীক্ষকের) মাধ্যমে নিরীক্ষা করা হয়। তারপর সেই নম্বর বোর্ডে জমা পড়ে এবং বোর্ড সেটি পদ্ধতি অনুসারে শিক্ষার্থীর নাম-রোল অনুসারে সংযুক্ত করে। সব বিষয়ের নম্বর উঠানো হলে ফলাফল প্রস্তুত হয়। সে হিসেবে পরীক্ষক, প্রধান পরীক্ষক, নিরীক্ষক কোনও একটি স্তরে সামান্য ভুল করলে পুরো ফলাফল পাল্টে যেতে পারে। এমন একটি স্পর্শকাতর বিষয়ে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলে মনে করেন অনেকে।
হিজলদী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিরুল ইসলাম জানান, লাইব্রেরিয়ান হয়েও কীভাবে প্রধান পরীক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সেটা আমার জানা নেই। তবে কম্পিউটার সম্পর্কে আমার ধারণা কম থাকায় ওটিপি যে যার মত করে বোর্ডে পাঠিয়েছে।
যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. বিশ্বাস শাহীন জানান, সহকারী লাইব্রেরিয়ান প্রধান পরীক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়ে থাকলে আমার কাছে তথ্য পাঠান, বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।