যবিপ্রবিতে মোবাইল ফোনসহ আটক ভর্তি পরীক্ষার্থী বহিষ্কার

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) স্নাতক প্রথম বর্ষের এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় কাছে মোবাইল ফোন রাখার দায়ে ঋতকমল মন্ডল নামে এক পরীক্ষার্থী বহিষ্কার হয়েছেন। তিনি যশোরের মণিরামপুর উপজেলার বাসিন্দা।
শনিবার (৩ জুন) তৃতীয় বারের মতো যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়েও (যবিপ্রবি) স্নাতক প্রথম বর্ষের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জিএসটিভুক্ত সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় ‘এ’ ইউনিটে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর ১২টা-১টা পর্যন্ত ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ‘এ’ ইউনিটে যবিপ্রবিতে আসন পড়ে তিন হাজার ৯৬০ জন শিক্ষার্থীর। এরমধ্যে যবিপ্রবিতে ৯৬ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী উপস্থিত হয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. হাসান মোহাম্মদ আল ইমরান জানান, যবিপ্রবির স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের ৩১৫ নম্বর কক্ষে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে স্ট্রাইকিং ফোর্স কমিটির সদস্যরা পরীক্ষার্থী ঋতকমল মন্ডল নিলয়কে আটক করেন। তার রোল নম্বর ২৪০৮৬৫। এসময় তার কাছ থেকে জব্দকৃত মোবাইল ফোনে লোকেশন, ব্লুটুথ ও ইন্টারনেট সংযোগ চালু ছিলো।
পরে প্রক্টর অফিসে জিজ্ঞাসাবাদে নিলয় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ফোন বাসা থেকে ভাইব্রেট করা ছিলো। বাসা থেকে ফোন নিয়ে বের হওয়ার পর ভাবছিলাম ফোন রাখবো কোথায়? পরে পকেট থেকে বের করে আন্ডারওয়ারের ভেতর রেখে পরীক্ষা দিতে বসেছি। পরীক্ষা শুরুও হয়েছে। পরীক্ষার আধা ঘণ্টা সময় শেষ হওয়ার পর হলের স্যার একটা সিগন্যালে দেখতে পান আমার কাছে ফোন রয়েছে। এসময় ওই পরীক্ষার্থী আরও বলেন, আমি একেবারে প্রথম বেঞ্চে ছিলাম। এখানে বসে ফোন বের করে দেখা বা কিছু লেখা সম্ভব ছিলো না। আমি সেকেন্ড টাইমার ছিলাম। আর পরীক্ষা দিতে পারবো না। এটাই আমার শেষ সুযোগ ছিল। আমার কৃষিগুচ্ছে আর একটা পরীক্ষা বাকি আছে। সেটাতে সুযোগ না হলে আমাকে চরম বিপদে পড়তে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. হাসান মোহাম্মদ আল ইমরান বলেন, এবারের ভর্তি পরীক্ষায় আমরা তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। ওই শিক্ষার্থী মোবাইল ফোনটি আন্ডারওয়্যারের মধ্যে রাখায় প্রথম ও দ্বিতীয় স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় শনাক্ত হয়নি। পরবর্তীতে পরীক্ষা শুরু হলে তৃতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সিগন্যাল শনাক্তের মাধ্যমে ওই শিক্ষার্থীকে মোবাইল ফোনসহ ধরা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে তার পরীক্ষাও বাতিল করা হয়েছে।