রামপাল (বাগেরহাট) সংবাদদাতা॥ রামপালে গ্রামীণ ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক ও মাঠকর্মীর বিরুদ্ধে গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় রোববার সকালে প্রেসক্লাব রামপালে ভুক্তভোগী গ্রাহকরা সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সংবাদ সস্মেলনে লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, গ্রামীণ ব্যাংক রামপাল শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও মাঠকর্মী তামজিদ মোল্লা গত ৭/৮ মাস আগে পেড়িখালী ইউনিয়নের সিকিরডাঙ্গা গ্রামের গ্রাহক আকলিমা বেগম, দুলালী বেগম, মুনজিরা বেগম, আন্জুয়ারা বেগম ও সুফিয়া বেগমের নামে বিপুল পরিমাণ টাকা উত্তোলন করে তা আত্মসাত করেছেন।
লিখিত অভিযোগে তারা আরও জানান, এ ঘটনায় সাবেক মাঠকর্মী তামজিদ মোল্লাকে সহযোগিতা করেছেন সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক মোস্তাফিজুর রহমান। নতুন ব্যবস্থাপক রফিক্লু ইসলাম দায়িত্ব নেয়ার পর ঋণ গ্রহিতাদের কাছে কিস্তির টাকার জন্যে ৭/৮ মাস পরে গিয়ে চাপ প্রয়োগ করেন। এ সময় ভুক্তভোগী গ্রাহকরা দাবি করেন তারা আগের ঋণ পরিশোধ করেছেন। কিন্তু নতুন করে কোন ঋণ নেননি। এর পরেও কি করে প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা ঋণ উত্তোলন করা হলো সেটি তারা বুঝতে পারছেন না। তারা আরো দাবি করেন, নতুন পাশবই তৈরি করে ছবি ও সই ছাড়া ওই পরিমাণ টাকা উত্তোলন করা হয়। নতুন পাশবইতে আবার কিস্তির টাকা আদায়ও দেখানো হয়েছে। এছাড়া নতুন ব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম তাদের কাছ থেকে সাদা কাগজে সই নিয়েছেন।
এ বিষয়ে সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক মোস্তাফিজুর রহমান সব অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, আমার সময়ে কোন অনিয়ম হয়নি। নতুন শাথা ব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলামের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, আমি দায়িত্ব নেয়ার পরে কোন অনিয়ম হয়নি। অভিযুক্ত তামজিদের বিরুদ্ধে রামপাল থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় অডিট করানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে কোন অনিয়ম ও টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া গেলে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পাঁচজন গ্রাহক উপস্থিত ছিলেন।