যশোরে বিএনপির ১২ নেতাকর্মী আটক

0

 

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের পুলিশ ফের ধরপাকড় শুরু করেছে। গত ২৪ ঘন্টায় সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও নগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদকসহ জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ১২ জনকে পুলিশ আটক করে। এর মধ্যে ১০ জনকে মঙ্গলবার (১৬ মে) পুলিশের দায়ের করা কথিত নাশকতার পেন্ডিং মামলায় আটক দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়। এ সময় আদালতের বিচারক তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
আটকরা হলেন, সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুজ্জামান মিঠু, নগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান মাসুম, সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম, মণিরামপুর উপজেলার মশ্মিমনগর ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল খালেক, ছাত্রদল নেতা সুমন, বাঘারপাড়া উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের আব্দুস সালাম মোল্লার ছেলে জুয়েল রানা, বাসুয়াড়ির ইউনিয়ন বিএনপির নেতা সরোয়ার হোসেন, শার্শা উপজেলার কালিয়ানী গ্রামের মৃত রসুল ঢালীর ছেলে শাহ আলম, মতলেব বিশ্বাসের ছেলে মনিরুজ্জামান, কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের আনছার আলীর ছেলে আজিজুর রহমান, বড় বসন্তপুর গ্রামের তবিবুর রহমানের ছেলে শহিদুল ইসলাম, সামটা পশ্চিমপাড়ার বজলুর রহমানের ছেলে ই¯্রাফিল হোসেন বাবু ও দক্ষিণ বুরুজবাগান এলাকার আব্দুস সালাম। এর মধ্যে যশোর নগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান মাসুম ও বাঘারপাড়া উপজেলার বাসুয়াড়ি ইউনিয়ন বিএনপির নেতা সরোয়ার হোসেন ছাড়া অন্যদের মঙ্গলবার কথিত নাশকতার পৃথক পেন্ডিং মামলায় আটক দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। এ সময় আদালতের বিচারক তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বিএনপি সূত্র জানায়, যশোর সদরে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুজ্জামান মিঠুকে মঙ্গলবার দুপুরে শহরের লালদিঘির পাড় থেকে, একইদিন সন্ধ্যায় শহরের বেজপাড়া থেকে নগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান মাসুমকে এবং গত সোমবার রাতে উপজেলার রূপদিয়া থেকে নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুস সালামকে আটক করে পুলিশ।
এদিকে দলীয় নেতাকর্মীকে আটকের তীব্র নিন্দা ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু। তিনি বলেছেন, বর্তমান স্বৈরাচারী সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তাদের পায়ের নিচে মাটি নেই। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য তারা তাদের অনুগত পুলিশ প্রশাসন দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে। তারপরও এভাবে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে সরকার টিকে থাকতে পারবে না। তাদের শেষ পরিণতি হবে ভয়াবহ।