বাগেরহাটে প্রবাহমান নদী ইজারা নিয়ে শর্তভঙ্গ করে সাব লিজের অভিযোগ

0

বাগেরহাট সংবাদদাতা॥ বাগেরহাটে প্রবাহমান চিত্রানদী জলমহালের নামে ইজারা নিয়ে শর্তভঙ্গ করে সাব লিজের অভিযোগ উঠেছে এক ইজারাদারের বিরুদ্বে। চিত্রানদী জলমহালের অধীনে ৩০টি মৌজায় এলাকায় শ শ জেলে রয়েছে। এতে প্রকৃত মৎস্যজীবীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ইজারা প্রথা বাতিল করে উম্মুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় প্রতিনিধি ও প্রান্তিক জেলেরা।সরেজমিন তদন্ত করে সাবলিজ বাতিলসহ জলমহালটি উম্মুক্ত করতে ভূমি মন্ত্রণায়লকে অবহিত করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
বাগেরহাটের ফকিরহাট, মোল্লাহাট, চিতলমারী ও সদর উপজেলার মধ্যে দিয়ে বয়ে চলা প্রবাহমান চিত্রানদী। বাংলা বছরের ১৩৯৭ সালে ভূমি জরিপে নদীর ৩২২ একর বদ্ধ ও ১১৭ একর উম্মুক্ত মোট ৪৪০ একর জমিকে বদ্ধ জলমহাল হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়।এরপর থেকে সরকারের কাছ থেকে ইজারা নিয়ে মাছ আহরণ করে থাকে স্থানীয় মৎস্য সমিতির লোকজন।সবশেষ বাংলা ১৪১৮ থেকে ১৪২৯ সন পর্যন্ত বছরে ১ লাখ ৬৮ হাজার ৯৭৭ টাকায় চিত্রানদী জলমহল ইজারা নেয় বাগেরহাট সদরের কুলিয়াদাইড় মৎসজীবী সমিতি লিমিটেড। কিন্তু সমিতির সভাপতি চিত্তরঞ্জন মৃধা ইজারার চুক্তির তোয়াক্কা না করে সাব লিজ দিয়ে নদীতে কুমার ও বাঁধাজাল ব্যবহার করে মাছ শিকার করে আসছেন।
দখলে থাকা ওই জলমহালের পাশের খালগুলো দখলের নেয়ার চেষ্টা চালানো হয় বলে অভিযাগ করেন স্থানীয় জেলেরা। যার ফলে প্রকৃত জেলেরা ক্ষতিগ্রস্ত হন।
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার মুলঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিটলার গোলদার বলেন, নামমাত্র ইজারা নিয়ে পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্তের ফলে প্রবাহমান নদীটি মরতে বসেছে। এতে শ শ জেলে মাছ শিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ইজারা বাতিল করে উম্মুক্ত হলে অসহায় জেলেরা মাছ আহরণ করতে পারবেন।
সাব লিজ নেয়ার কথা জেলেরা স্বীকার করলেও বাগেরহাটের কুলিয়াদাইড় মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি চিত্তরঞ্জন মৃধা লিজ দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, বর্তমানে খাজনার টাকা ওঠে না ।নিয়ম মেনেই লিজ নেয়া হয়েছে।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, প্রবাহমান চিত্রানদী জলমহালের নামে ইজারা নিয়ে শর্তভঙ্গ করে সাব লিজের অভিযোগ আসছে ইজারাদারের বিরুদ্বে। এই অভিযোগের বিষয়ে সরেজমিন তদন্ত করে সাবলিজ বাতিলসহ জলমহালটি উম্মুক্ত করতে ভূমি মন্ত্রণায়লকে অবহিত করা হবে বলে তিনি জানান ।