চার লাখ টাকা উদ্ধার করে দেয়ার নামে ‘জিন হুজুর’ হাতিয়ে নেন ১২ লাখ টাকা !

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কথিত এক ‘জিন হুজুর’ প্রতারণার মাধ্যমে যশোর সদর উপজেলার লেবুতলা গ্রামের আবুল হোসেন নামে একজন কাঠ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। কয়েকজন ব্যক্তির কাছে কাঠ ব্যবসায়ীর পাওনা ৪ লাখ টাকা আদায় করে দেয়ার জন্যে প্রথমে প্রতিশ্রুতি দেন ওই প্রতারক। এরপর কাঠ ব্যবসায়ীকে জিনের ভয়ভীতি দেখিয়ে ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন তিনি।
প্রতারণার শিকার কাঠ ব্যবসায়ী আবুল হোসেন রোববার কথিত ‘জিন হুজুর’ মাওলানা হাবিবুল্লাহর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন। অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ আহমেদ অভিযোগের তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্যে সিআইডি পুলিশকে আদেশ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত মাওলানা হাবিবুল্লাহ চট্টগ্রামের লাল দিঘিরপাড় বাইতুন আমান দরবার শরীফ এলাকার মৃত বক্কারের ছেলে বর্তমানে ঢাকার আশুলিয়ার রূপায়ন আবাসন-২ এলাকার বাসিন্দা। অপরদিকে মামলার বাদি আবুল হোসেন যশোর সদর উপজেলার লেবুতলা গ্রামের আদিল মোল্লার ছেলে।
ব্যবসায়ী আবুল হোসেন মামলায় উল্লেখ করেছেন, তিনি কাঠের ব্যবসা করেন। কয়েক ব্যক্তির কাছে তার ব্যবসা সংক্রান্ত প্রায় ৪ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে। সেই টাকা উদ্ধারের জন্যে মাওলানা হাবিুল্লাহর টেলিভিশনে বিজ্ঞাপন দেখে গত ২৩ জানুয়ারি তার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেন আবুল হোসেন। এ সময় মাওলানা হাবিবুল্লাহ তাকে পাওনা ৪ লাখ টাকা উদ্ধারের পাশাপাশি আরো ১ কোটি টাকা মুনাফা পাইয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করে দেবেন বলে কথা দেন। পরে মাওলানা হাবিবুল্লাহ জিনের ভয়ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন সময় আবুল হোসেনের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে ১১ লাখ ৭০ হাজার ৮৮০ টাকা হাতিয়ে নেন। এরপর তিনি তার কাছে আরো টাকা দাবি করেন। গত ২১ এপ্রিল সকাল ১০টার দিকে মাওলানা হাবিবুল্লাহ ৭/৮ জনকে সাথে নিয়ে আবুল হোসেনের বাড়িতে যান এবং মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে তার কাছ থেকে নগদ আরো ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। পরবর্তীতে আবুল হোসেনের সন্দেহ হলে তিনি খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন, মাওলানা হাবিবুল্লাহ একজন প্রতারক। ফলে তিনি মোবাইল ফোন করে তাকে দেয়া ১২ লাখ ৮৮০ টাকা ফেরত চান। এ সময় মাওলানা হাবিবুল্লাহ তাকে টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করেন এবং অকথ্য ভাষায় গালি দেন। যে কারণে কোনো উপায় না পেয়ে প্রতারক মাওলানা হাবিবুল্লাহর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন আবুল হোসেন।