ডাক্তার ও প্রশিক্ষিত নার্সবিহীন হরিণাকুর আলহেরা প্রাইভেট ক্লিনিক ?

0

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ ॥ নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই দিনের পর দিন চলছে ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার আলহেরা প্রাইভেট ক্লিনিক। অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে কোনও আবাসিক ডাক্তার বা প্রশিক্ষিত নার্স নেই। ক্লিনিকটিতে অন্যান্য জনবল ও অপারেশন করার পরিবেশ নেই। তারপরও বহাল তবিয়তে এ ক্লিনিকের কার্যক্রম চলছে। কর্তৃপক্ষ দেখেও না দেখার ভান করছে।
এদিকে ক্লিনিকটি মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে হওয়ায় এমন খবরে ফুঁসে উঠেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের সংগঠন। তারা অবিলম্বে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স থেকে আলহেরা ক্লিনিক অপসারণের দাবি তুলেছেন। তথ্য নিয়ে জানা যায়, ২০১৮ সালে হরিণাকু-ু মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের পুরো ভবন ভাড়া নেন রেজাউল ইসলাম। এরপর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়াই সেখানে গড়ে তোলেন ‘আলহেরা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার’। শুরু থেকেই ক্লিনিকে কোনও আবাসিক ডাক্তার, ডিপ্লোমা নার্স ও ল্যাব টেকনেশিয়ান নেই। এ সব অভিযোগ পেয়ে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডা. শুভ্রা রানী দেবনাথ আলহেরা প্রাইভেট ক্লিনিক পরিশর্দন করেন। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী তিন জন ডাক্তার ও ছয়জন নার্স থাকার নিয়ম থাকলেও পরিদর্শনকালে তিনি ওই ক্লিনিকে কোনও ডাক্তার কিংবা নার্সের উপস্থিতি পাননি। এ কারণে তিনি গত ২২ ফেব্রুয়ারি কিèনিক মালিককে শোকজ করেন। কিন্তু ক্লিনিক মালিক সন্তোষজনক কোনও জবাব দিতে পারেননি। সিভিল সার্জন শোকজ করার পরও ডাক্তার-নার্স বাদেই চলছে অপারেশনসহ সব কাজ।
এদিকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের সংগঠন ‘মুক্তিযোদ্ধার সংসদ সন্তান কমান্ড’ এর সভাপতি সাদিক আহমেদ সুমন জানান, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স আমাদের গৌরবের জায়গা। সেখানে এমন অপকর্ম চলতে দেয়া যায়না। ক্লিনিক মালিক রেজাউল ইসলাম বলেন, ক্লিনিকে কিছু ত্রুটি বিচ্যুতি আছে, এগুলো ঠিক করা হবে। হরিণাকু-ু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুস্মিতা সাহা বলেন, ৭ দিনের ভেতর বকেয়া পরিশোধসহ মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ছাড়ার জন্য নোটিস দেওয়া হয়েছে। সিভিল সার্জন ডা. শুভ্রা রানী দেবনাথ বলেন, তিনি সতর্কতা করার জন্য একবার কৈফিয়ত তলব করেছেন। পুনরায় তিনি ওই ক্লিনিক পরিদর্শন করে বিধি অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।