মোংলা থেকে ব্যবসায়ী অপহরণের মামলা নেয়নি পুলিশ, ছেলের অভিযোগ

0

 

মোংলা (বাগেরহাট) সংবাদদাতা ॥ ২০ দিন আগে মৎস্য ব্যবসায়ী মাহে আলমের (৬৫) অপহরণের মামলা না নেওয়ায় ছেলে সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের কাছে ঘটনা তুলে ধরেছেন। ব্যবসায়ী মাহে আলমের বড় ছেলে জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ এর প্ল্যানিং অ্যান্ড মনিটরিং কর্মকর্তা সোহেল রানা শনিবার সকালে মোংলা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। এসময় তার বাবাকে অপহরণের ভিডিও ফুটেজও দেখানো হয়। তার দাবি এই ফুটেজ এবং অপহরণের যাবতীয় তথ্য উপাত্ত মোংলা থানায় দিলেও মামলা নেয়নি পুলিশ।  অপহৃত মাহে আলম  আততায়ীর গুলিতে নিহত মোংলা পোর্ট পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত আব্দুল বাতেনের ছোট ভাই ও মোংলা বাজারের মৎস্য ব্যবসায়ী।
সংবাদ সম্মেলনে মাহে আলমের ছোট ছেলে সুমন রানা লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ১০ এপ্রিল বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি তার বাবা। অনেক খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে মোংলা থানায় জিডি করা হয়। এরপর ২০ এপ্রিল মোংলা পোর্ট পৌরসভার সিসিটিভি ক্যামেরার ১০ এপ্রিলের সংরক্ষিত ফুটেজে দেখা যায় তার বাবা মাহে আলমকে ট্রলার মাঝি মোশাররফ হোসেন বানিশান্তা ঘাটে নিয়ে যাচ্ছেন। ওই ফুটেজের সূত্র ধরে ঘাটের অন্যান্য মাঝি ও প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞেস করা হলে তারা বলেন সুন্দরবনের করমজলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে মাহে আলমকে। লিখিত বক্তব্যে সুমন ফৌজদারি দণ্ড বিধির ৩৬২ ও ৩৬৪ ধারায় তার বাবা মাহে আলমকে অপহরণ করার জন্য মোংলা থানায় মামলা গ্রহণের জোর দাবি জানান। সুমন রানা আরও বলেন, গত ১৩ এপ্রিল সুন্দরবনের করমজল থেকে পুলিশ অর্ধগলিত একটি লাশ উদ্ধার করে। ওই লাশটি তার বাবার হতে পারে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, উদ্ধারকৃত লাশটির পরনে প্যান্ট শার্ট তার বাবার অপহরণের প্রাক্কালে পরিহিত প্যান্ট শার্টের সাথে মিল রয়েছে। আবেগ আপ্লুত হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে এসময় বাবার অপহরণের বিচার চান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে মাহে আলমের তিন ভাই জসিম উদ্দিন, ছরোয়ার হোসেন, বিল্লাল হোসেন ও জামাই জাহিদ হোসেন, নূর আলম শেখসহ আত্মীয়-স্বজন উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে সিসি টিভির ফুটেজ ও অপহরণের সব রকমের তথ্য উপাত্ত নিয়ে থানায় গেলেও পুলিশ মামলা নেয়নি পরিবারের এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মোংলা থানার পুলিশ পরিদর্শক ( তদন্ত) বিকাশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘অপহরণের যে প্রমাণ তারা নিয়ে এসেছেন তা গ্রহণযোগ্য না এবং যে লাশটির কথা বলা হচ্ছে তার ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট হাতে না পেলে কিভাবে মামলা নিব?।’