কালীগঞ্জে ঝড়ে রোরোধানসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

0

শিপলু জামান, কালীগঞ্জ(ঝিনাইদহ)॥ শিলাবৃষ্টিসহ ঝড়ে কালীগঞ্জে কয়েকটি ইউনিয়নের মাঠে সহস্রাধিক হেক্টর জমির উঠতি বোরো ধানসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সোমবার বিকেলে বয়ে যাওয়া এ ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে কালীগঞ্জ উপজেলার ত্রিলোচনপুর ইউনিয়নে। এছাড়া শিমলা রোকনপুর ইউনিয়নের শিমলা ও পাতবিলা গ্রামের আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একই সাথে মাঠের পাট, কলা, আম লিচু ও সবজির ক্ষতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রচন্ড তাহদাহের মধ্যে বয়ে যায় ঝড়- বৃষ্টি। এতে সাধারণ মানুষ স্বস্তি পেলেও এলাকায় ধানসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত জানাতে পারেনি জেলা কৃষি অফিস।
কৃষি কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ের সাথে শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
ত্রিলোচনপুর ইউনিয়ের ছোট ঘিঘাটি গ্রামের স্কুলশিক্ষক এমদাদ হোসেন বলেন, আমরা চার ভাই চলতি মৌসুমে ৮ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছিলাম। আজ অথবা কাল ধান কাটার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ বয়ে যাওয়া ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে আমাদের জমির ধান সব পড়ে গেছে। ধানের শীষ আছে। কিন্ত ধান নেই।
একই ইউনিয়নের বড় ঘিঘাটি গ্রামের স্কুলশিক্ষক মাইনুর রহমান বলেন, দুই বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছিলাম। আজই কাটার কথা ছিল। কিন্তু শিলাবৃষ্টিতে আমার জমির একটি ধানও আর অবশিষ্ট নেই।
উপজেলার ত্রিলোচনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্য্যান নজরুল ইসলাম ঋতু জানান, বিকেল তিনটার একটু আগে আকাশে কালো মেঘ জমে বজ্রপাত শুরু হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে ঝড়ো হাওয়া ও শিলাবৃষ্টি হয়। শিলাবৃষ্টতে আমার ইউনিয়নের মাঠে থাকা উঠতি পাকা ধান, কলা ও ফলসহ সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা বলতে পারেননি চেয়ারম্যান। উপজেলার শিমলা রোকনপুর ইউনিয়নের পাতবিলা গ্রামের কৃষক আব্দুল ওহাব জানান, শিলাবুষ্টিতে আমার এক বিঘা জমিতে এখন ৮ থেকে ১০ মণ ধান পাওয়া যাবে। মাঠের বাকি জমিতেও ধানের একই অবস্থা।
শিমলা রোকনপুর ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাধব চন্দ্র বিশ্বাস জানান, শিলাবৃষ্টিতে ইউনিয়নের শিমলা ও পাতবিলা গ্রামের মাঠে প্রায় ২০ হেক্টর জমির ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একই সাথে ২০ শতাংশ কলা ও পাট নষ্ট হয়েছে।
কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাহবুব আলম রনি জানান, আমরা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকাা করছি। কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা এখনি বলা যাচ্ছে না।