এবার ফয়সাল খানের বিরুদ্ধে মামলা সোহেল রানার!

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ব্যাভিচারীর অভিযোগে স্ত্রী জেলা যুব মহিলা লীগের যুগ্ম-সম্পাদক নাজনীন আফরোজ লিজাসহ দুই জনের বিরুদ্ধে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে মামলা করেছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ফয়সাল খান। এই মামলা দায়ের পরদিনই তার বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় চাঁদাদাবির অভিযোগ করেছেন ওই মামলার আসামি সোহেল রানা।
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার চিতেশ্বরী গ্রামের মহিউদ্দিনের ছেলে বর্তমানে যশোর শহরের ঘোপ নওয়াপাড়া রোডের বাসিন্দা সোহেল রানার অভিযোগ, উপশহর ১১ নম্বর সেক্টর এলাকায় তার ভেটেরিনারি ওষুধের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোডের মৃত সরোয়ার খানের ছেলে ফয়সাল খান প্রায় তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছেন। চাঁদা না দিলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়াসহ তাকে প্রাণনাশের হুমকিও দেয়া হয়। গত বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ফয়সাল খানসহ অজ্ঞাতনামা ৮/৯ ব্যক্তি তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে তাকে চাঁদা দিতে বলেন। অস্বীকার করায় তাকে মারধর করা হয়। ৭ দিনের মধ্যে চাঁদার ৩ লাখ টাকা না দিলে সোহেল রানাকে হত্যা করা হবে বলে ফয়সাল খান হুমকি দিয়ে সেখান থেকে চলে যান। এছাড়া ফয়সাল খান মোবাইল ফোনে তাকে প্রতিনিয়ত হুমকি চলেছেন।
সোহেল রানা দাবি করেন, ফয়সাল খান যে সোহেল রানার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন ওই ব্যক্তি তিনি নন।
জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ফয়সাল খান জানান, তিনি ওই সোহেল রানার বিরুদ্ধেই আদালতে মামলা করেছেন তার স্ত্রীকে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে। তিনি সোহেল রানার কাছে স্ত্রীকে ফেরত চাইতে যাওয়ার কারণে তার বিরুদ্ধে চাঁদাদাবির মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।
উপশহর পুলিশ ক্যাম্পের কর্মরত এসআই এজাজুল হক জানান, তিনি সোহেল রানার কোতয়ালি থানায় দেয়া লিখিত অভিযোগটি পেয়েছেন। অভিযোগটি তিনি তদন্ত করছেন। এর বাইরে আর কোনো কিছু বলতে চাননি ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, ব্যাভিচারির অভিযোগ এনে স্ত্রী নাজনীন আফরোজ লিজা এবং সোহেল রানা নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে মামলা করেন ফয়সাল খান। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মঞ্জুরুল ইসলাম অভিযোগের তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) আদেশ দিয়েছেন।