আটক সজিবসহ তিন জনের রিমান্ড মঞ্জুর, রাজীবের সঙ্গী রবিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তথ্য মিলতে পারে

0

স্টাফ রিপোর্টার॥ যশোর শহরের পুরাতন কসবা নিরিবিলি এলাকায় চাঞ্চল্যকর রাজীব হত্যা মামলায় আটক সজিবুর রহমান সজিবসহ ৩ জনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।  সোমবার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) আবেদনের শুনানি শেষে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক পলাশ কুমার দালাল তাদের প্রত্যেকের ২ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. জিয়াউর রহমান জানান, রাজীব হত্যা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আসামি সজীবের ১০ দিনের এবং আটক সন্দেহভাজন আসামি ইব্রাহিম মোল্লা ও জয়নাল হাওলাদারের ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়েছিলেন। আদালতে রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে বিচারক প্রত্যেকের ২ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। তিনি জানান, উদ্ধার হওয়া কংকালটি রাজীবের এ বিষয়টি ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে। কিন্তু কেন তাকে এভাবে নৃসংশভাবে হত্যা করা হলো এবং এই ঘটনার সাথে আসলে কারা জড়িত সেই তথ্য উদ্ঘাটনের জন্য আসামিদের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
অপরদিকে রাজীব হত্যাকাণ্ডের জন্য আটক রিকশাচালক আব্দুস সালামকে দায়ী করছেন আটক সজিবের স্বজনেরা। রিকশাচালকের মেয়ের সাথে প্রেমজ সম্পর্কের কারণে তাকে আব্দুস সালামই লোকজন দিয়ে হত্যা করেছেন বলে তাদের দাবি। তারা আরো জানান, ‘স্টার টেক সলুশ্যন’ নামে সেখানে আরেকটি অফিস ছিলো। এই অফিসের চাবি থাকতো রিকশাচালক আব্দুস সালামের কাছে। মেয়ের সাথে প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে তোলার কারণে আব্দুস সালাম নিজ ঘরে রাজীবকে হত্যার পর স্টার টেক সলুশ্যন অফিসের লোকজনের সহায়তায় ড্রামের ভেতর লাশ রেখে পুঁতে রেখেছিলেন। আড়াই বছর আগে রিকশাচালক আব্দুস সালমের সেই মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন।  স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, রাজীবের সাথে রবিন নামে আরেক যুবক চলাফেরা করতেন। ঘটনার দিন রবিনের সাথে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন রাজীব। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন রাজীব। এ কারণে সঙ্গী রবিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারলে রাজীব হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন হতে পারে।
পিবিআই সূত্র জানায়, যে রিকশায় করে পাগলাদাহ থেকে ড্রাম নিয়ে আসা হয়েছিলো তার চালক আব্দুস সালামকে তারা ইতোমধ্যে আটক করেছে। ওই রিকশাচালকই পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি সজিবের বাড়িতে ড্রামটি নিয়ে গিয়েছিলেন। পরদিন সজিবের বাড়ি থেকে মুখ বন্ধ ভারি ড্রাম এনে ঘটনাস্থলে পুঁতে রাখা হয়। সজিবসহ কয়েকজন ড্রাম পুঁতে রাখেন। এ কারণে পিবিআই ধারণা করছেন, সজীব এবং তার লোকজন রাজীব হত্যার সাথে জড়িত। এ কারণে সজীব ও তার দুই সঙ্গী ইব্রাহিম মোল্লা ও জয়নাল হাওলাদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। রিমান্ডে তাদের কাছ থেকে হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনসহ জড়িতদের নাম পাওয়া যেতে পারে।