তুরস্কের আকাশে অদ্ভুত মেঘ

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ তুরস্কের আকাশে দেখা মিলল অদ্ভূত মেঘের। লাল-কমলা রঙের ওই মেঘ দেখে বোঝা মুশকিল আদৌ মেঘ নাকি অন্য কিছু। যা তৈরি করেছিল দৃষ্টিবিভ্রম, অনেকের কাছেই এটাকে লাগছিল ইউএফও (আনআইডেন্টিফাইড ফ্লায়িং অবজেক্ট) তথা ভিনগ্রহী প্রাণীদের মহাকাশ যানের মতো। দেশটির আবহাওয়া দপ্তর জানায়, পাহাড়ের ওপর প্রবল বাতাসের কারণেই তৈরি হয় এমন মেঘ।
বৃহস্পতিবার সকালে তুরস্কের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় শহর বুরসা থেকে এটি দৃষ্টিগোচর হয়েছে। অনেক মানুষ মেঘের বিস্ময়কর এ গঠন দেখতে জড়ো হয়েছিলেন, অনেকেই ছবি তুলেছেন ভিডিও করেছেন আর সেগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেছেন।
লেন্টিকুলার মেঘ নামে পরিচিত প্রায় বৃত্তকার মেঘের ঢেউয়ের মতো এ গঠনটি সূর্যোদয়ের সময় দেখা যেতে থাকে. আর প্রায় এক ঘণ্টার মতো আকাশে ছিল, এর মাঝখানে বড় একটি গর্তও ছিল।
প্রথম দেখায় মনে হতে পারে এ আবার কি? রং তুলির রঙিন আঁচড়ও মনে হতে পারে। লাল-কমলা-হলুদ রঙ মেশানো অদ্ভূত এ দৃশ্য ভাবনায় ফেলবে যে কাউকে। পরাবাস্তবও মনে হতে পারে অনেকের কাছে। এই অদ্ভূত দৃশ্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়েছে।
মূলত এটি মেঘের ছবি। মেঘ সাদা-ছাই-কালো রঙের দেখা গেলেও এমন রঙিন মেঘের নজির নেই। লাল-কমলা মেঘের এ ছবি অবিশ্বাস্য। রঙিন মেঘ দেখে বোঝার উপায় নেই এটি আদৌ মেঘ নাকি অন্য কিছু। তুরস্কের বার্সা শহরের আকাশে দেখা গেছে এমন অদ্ভূত মেঘ, যা দেখে হতবাক স্থানীয়রা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান এমন অদ্ভূত মেঘ তারা কখনো দেখেননি।
অদ্ভুত রঙিন এই মেঘের ভিডিও এবং ছবি বিশ্বজুড়ে ভাইরাল হয়েছে। শত শত সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারী বলেছেন যে মেঘটি দেখতে ইউএফওর মতো। তবে তুরস্কের স্টেট মেটিওরোলজিক্যাল সার্ভিস বলছে, বিরল ঘটনাটি কেবল একটি ‘লেন্টিকুলার ক্লাউড’। এ ধরনের মেঘগুলো তাদের বাঁকা ও ফানেল আকৃতির চেহারার জন্য পরিচিত।
এ ধরনের মেঘ সাধারণত ২০০০ থেকে ৫০০০ মিটারের মধ্যে উচ্চতায় পাওয়া যায়। লেন্টিকুলার মেঘ তৈরি হয় যখন বায়ুম-লের স্তরটি স্যাচুরেশনের ঠিক ওপরে থাকে; যার অর্থ পাহাড় এবং পর্বতের ওপর প্রবল বাতাসের ওঠানামার ফলে তৈরি হয় যখন বাতাস স্থিতিশীল এবং আর্দ্র থাকে। শীতকালে প্রায়শই তৈরি হয় এই মেঘ। তবে বছরের অন্য সময়ে দেখা যায়।
দেশটির আবহাওয়া দপ্তর স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, ঘন মেঘের ওপর সূর্যরশ্মি পড়ায় এমন লাল-কমলা-হলুদ রঙ ধারণ করে মেঘ। এটি লেন্স মেঘের একটি উদাহরণ যা সাধারণত পাহাড়ের ওপর প্রবল বাতাসের ওঠানামার কারণে তৈরি হয় বলেও জানানো হয়। রঙিন মেঘের এ বলয়ের স্থায়িত্ব ছিল অন্তত একঘণ্টা।