যশোর চেম্বার অব কমার্সের নির্বাচন নিয়ে করা মামলা খারিজ

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর চেম্বার অব কমার্স নির্বাচন নিয়ে করা মামলা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।  রবিবার যশোরের সিনিয়র সহকারী জজ সুজাতা আমিন মামলাটি খারিজ করে দেন। একই আদেশে তিনি ত্রুটিপূর্ণ ভোটার সংশোধন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে ভোটগ্রহন করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। চেম্বার নির্বাচনের ভোটারদের জাল আয়কর সনদ নিয়ে দায়ের করা একটি মামলার প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক।
যশোর চেম্বার অব কমার্সের নির্বাচনের দুই দিন আগে গত ৪ জানুয়ারি সদস্য মেসার্স পারভেজ ট্রেডার্সের মালিক মেহেদী হাসানের (ভোটার নম্বর-৬৪২) করা মামলায় ভোটগ্রহন স্থগিত করে। মামলায় যশোর চেম্বার অব কমার্সের প্রশাসক, নির্বাচন বোর্ডের আহবায়ক, (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) বোর্ডের দুই সদস্য, এবং আলম ট্রেডার্সের মালিক মোঃ আলম, সরোয়ার ট্রেডার্সের মালিক গোলাম সরোয়ার, রহিম স্টোরের মালিক আব্দুর রহিম ও যশোর কর অঞ্চলের উপকর কমিশনারকে বিবাদী করা হয়েছিল। সিনিয়র সহকারী জজ স্থগিত আদেশ ও বিবাদীদের এক কার্যদিবসের মধ্যে আদালতে হাজির হয়ে অভিযোগের বিষয়ে শুনানিতে অংশগ্রহনের নির্দেশ দেন। পরে চেম্বারের নির্বাচনে অংশ নেয়া দুটি প্যানেলের প্রার্থীরা বিবাদী পক্ষ হয়ে আইনজীবী নিয়োগ করেন।
বাদী পক্ষে অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম (২), বিবাদী পক্ষে নির্বাচনে অংশ নেয়া ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের হয়ে অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম এবং ব্যবসায়ী অধিকার পরিষদের পক্ষে নাসির আলম এ শুনানিতে অংশ নেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী শফিকুল ইসলাম মিঠু জানান, রবিবার চেম্বার অব কমার্সের করা মামলাটি খারিজ করে দিয়ে আদালত ভোটার তালিকায় যদি অসঙ্গতি থাকে তাহলে সেটি সংশোধন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন করতে বলা হয়েছে।
এব্যাপারে যশোর চেম্বার অব কমার্সের প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: রফিকুল হাসান জানান, মামলাটি খারিজ হওয়ার খবর জেনেছি। রায় হাতে পাবার পর দেখব সেখানে কি নির্দেশনা এসেছে। তবে নতুন করে নির্বাচন করতে হলে আমাদের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিতে হবে। ইতিমধ্যে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি সব ভোটারদের আয়কর সনদ আসল কিনা তা যাচাই বাছাই করার। উল্লেখ্য, দীর্ঘ আটবছর পর গত ৭ জানুয়ারি নির্বাচন হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু গত ৪ জানুয়ারি জাল আয়কর সনদ দিয়ে ভোটার করানো হয়েছে এমন অভিযোগ এনে মেসার্স পারভেজ ট্রেডার্সের মালিক মেহেদী হাসান বাদী হয়ে যশোরের আদালতে একটি মামলা করেন। এরপর আদালত এ নির্বাচন স্থগিতের আদেশ দেন। এরপর এ মামলায় গত ৮ জানুয়ারি ব্যবসায়ী ঐক্য প্যানেলের ১৮জন বিবাদী হিসেবে শ্রেণিভুক্ত হন। পরে ব্যবসায়ী অধিকার পরিষদের ১৮ প্রার্থীও এ মামলার বিবাদী শ্রেণিভুক্ত হন।