চেম্বার নির্বাচনে ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের মতবিনিময় নওয়াপাড়ায়

0

 

স্টাফ রিপোর্টার॥ যশোর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচন আগামী ৭ জানুয়ারি। এরই মধ্যে জমে উঠেছে নির্বাচন। নির্বাচনে দুটি প্যানেলে ৩৬ জন এবং স্বতন্ত্র পদে একজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রচার প্রচারণা অব্যাহত রেখেছেন দুই প্যানেলের প্রার্থীরা।  মঙ্গলবার শিল্প শহর নওয়াপাড়ার ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় করেছেন মিজানুর রহমান খান প্যানেলের প্রার্থীরা। অপর প্যানেল হলো ব্যবসায়ী অধিকার পরিষদ। নওয়াপাড়ায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময়সভায় বক্তব্য রাখেন ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের প্যানেল লিডার মিজানুর রহমান খান, শেখ আতিকুর বাবু, সাজ্জাদুর রহমান সুজা, কাসেদুজ্জামান সেলিম, রবিন অধিকারী ব্যাচা, মশিয়ার রহমান সরদার, মোসলেম উদ্দিন প্রমুখ।
বক্তারা বলছেন, যশোর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচন গত ৮ বছর ধরে হয়নি। কী কারণে হয়নি তা ব্যবসায়ীরা জানেন। ব্যবসায়ীদের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য মিজানুর রহমান খানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ১৭ দিন কারাগারে রাখা হয়েছিল। কিন্তু যারা ষড়যন্ত্র করেছেন তাদেরই ক্ষতি হয়েছে। কেননা ভোটাররা একমত হয়েছেন। তারা নির্বাচনে এই অন্যায় কাজের জবাব দেবেন। তিনি ভোটারদের উদ্দেশ্য বলেন, সাধারণ ভোটাররা ১২টি এবং সহযোগী সদস্যরা ৬টি পদে ভোট দেবেন। কেউ কমবেশি ভোট দিলে সেই ভোট বাতিল হয়ে যাবে। যে কারণে বুঝে শুনে সবাইকে ভোট দেয়ার আহবান জানান তিনি।
ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের প্যানেল লিডার ও যশোর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান খান গতকাল মতবিনিময়সভায় বলেন, আমাকে চেম্বারের নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা মামালায় আটক করা হয়েছিল। ১৭ দিন জেলে থাকার কারণে প্রচার প্রচারণা করতে পারিনি। তবে আমার প্যানেলের প্রার্থীরা প্রচার প্রচারণা অব্যাহত রেখেছিলেন। ইতিহাস বলে কখনও জেলে আটকিয়ে রেখে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়া যায়না। তেমনি চেম্বারের ভোটে ব্যবসায়ীদের দমিয়ে রাখা যাবেনা। আমি আশাবাদী আমরা চেম্বারের পরিষদে যেতে পারলে ব্যবসায়ীদের সব সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করা হবে। নওয়াপাড়াকে আরও ব্যবসাবন্ধব করতে সব ধরনের উদ্যোগ আমাদের পরিষদ নেবে।
এ সময় নওয়াপাড়ার ব্যবসায়ীরা বলেন, আমরা সব সময় বাধার সম্মুখিন হই। অযথা কাস্টমসের হয়রানির শিকার হতে হয় এখানকার ব্যবসায়ীদের। নওয়পাড়ার নদী ক্রমশ: নাব্য হারিয়ে ফেলছে। নওয়াপাড়ার বাণিজ্যর অন্যতম মাধ্যম হলো নদী। এটি সংকুচিত হলে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। যে কারণে নদীবন্দরটি আরও সচল করতে আগামীতে চেম্বারের পরিষদে গেলে কাজ করার আহবান জানানো হয় মিজানুর রহমান খান প্যানেলের প্রার্থীদের। ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন যশোর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান খান, জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প বিষয়ক সম্পাদক শেখ আতিকুর বাবু, সাজ্জাদুর রহমান সুজা ও ইদুল চাকলাদার।
অপর প্যানেল ব্যবসায়ী অধিকার পরিষদের নেতৃত্বে রয়েছেন সংস্থার সাবেক নির্বাহী সদস্য হুমায়ুন কবীর কবু, মিজানুর রহমান ও আসাদুজামান মিঠু। এই প্যানেলের লিডার হুমায়ুন কবীল কবু জানান, আমরা জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। আমরা পরিষদ গঠন করতে পারলে ব্যবসায়ীদের স্বার্থে কাজ করব। যশোর চেম্বার অব কমার্সের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কেএম আবু নওশাদ বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সব প্রস্তুতি আমরা নিয়েছি। শহরের কালেক্টরেট স্কুলে ভোট গ্রহণ করা হবে।