বাগেরহাটে ছাত্রলীগের তান্ডব বিএনপি কার্যালয় ও নেতাদের বাড়িতে

0

বাগেরহাট সংবাদদাতা॥ বাগেরহাটে জেলা বিএনপির আহবায়ক এটিএম আকরাম হোসেন তালিমের বাড়ি, শহরের সরুইস্থ দলীয় কার্যালয় এবং শ্রমিক দলের সাবেক জেলা সভাপতি সরদার লিয়াকত হোসেনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার সকালে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে ওই ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এটিএম আকরাম হোসেন তালিমের। দলীয় কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা এবং পুলিশের আটকের ফলে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালন করতে পারেনি দাবি বিএনপির।
এটিএম আকরাম হোসেন তালিম বলেন, আজ (শনিবার) সকাল দশটার দিকে আমার চাচাতো ভাই আলী রেজা আহমেদের স্ত্রী মারা গেছেন। সেজন্য আমরা পারিবারিকভাবে দুঃখ ভারাক্রান্ত রয়েছি। আমরা দাফন-কাফনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এ সময় ছাত্রলীগের কর্মীরা মোটরসাইকেল এসে আমাদের বাড়ি আক্রমণ করে। মৃত্যুর খবর শুনে বাসার সামনে আসা আশা স্বজন ও প্রতিবেশীদের ধাওয়া করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তাদের বসার জন্য আনা চেয়ার ও বাড়ির ভেতর ঢুকে কক্ষের দরজা-জানালা ভাঙচুর করে।
তালিম আরও বলেন, সারা দেশে বিএনপির গণমিছিলে কর্মসূচি ছিল। কিন্তু সকাল থেকে আমাদের দলীয় অফিস পুলিশ ঘেরাও করে রেখেছে। আমাদের কোন নেতাকর্মী ভেতরে ঢুকতে পারেনি। সেখানে মিছিল করার প্রস্তুতি নিলে পুলিশ পাঁচজনকে আটক করেছে। যাকে পাচ্ছে তাকে আটকের তাৎপরতা চালাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আমরা মিছিল করতে পারিনি।
বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ সালাম বলেন, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা এসে আমাদের দলীয় কার্যালয়ে দরজা, জানালা ভাঙচুর করেছে। অফিস তালাবদ্ধ থাকায়, দেওয়াল টপকে ভিতরে প্রবেশ করে তারা হামলা-ভাংচুর করে। এছাড়া পুলিশ আমাদের নেতাকর্মীদেরও গ্রেফতার করেছে। যার কারণে আমরা কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি পালন করতে পারিনি।
এদিকে বাগেরহাট-খুলনা মহাসড়কের কাটাখালি মোড় এলাকায় গণমিছিল করেছে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। মিছিলে জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা রেজাউল করিম, নায়েবে আমির অ্যাড. আব্দুল ওয়াদুদ, সাধারণ সম্পাদক শেখ মোঃ ইউনুসসহ সহস্রাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।  বাগরেহাট জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা রেজাউল করীম বলেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি থেকে ফেরার পথে বিভিন্ন স্থান থেকে পুলিশ আমাদের ১৮ নেতাকর্মীকে আটক করেছে। আমরা আটক নেতাকর্মীদের নিশর্ত মুক্তি চাই। ফকিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মু. আলিমুজ্জামান বলেন, এসআই সঞ্জয় বাদী হয়ে একটি নাশকতা মামলা দায়ের করেছেন। এই মামলায় কাটাখালিসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ২১জনকে আটক করা হয়েছে।  এবিষয়ে কথা বলার জন্য জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ মনির হোসেনকে ফোন করলে তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।