বিএনপি নেতা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান খান আটক

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান খানকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ।  এদিকে অনুষ্ঠিতব্য যশোর চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের নির্বাচনের আগে একটি প্যানেলের নেতা মিজানুর রহমান খানকে আটকের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা। তারা এ আটককে উদ্দেশ্যমূলক বলে দাবি করেছেন। মিজানুর রহমান খান যশোর চেম্বারের সাবেক সভাপতি।  বৃহস্পতিবার যশোর উপশহরস্থ নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে তাকে আটক করে ডিবি পুলিশ। পুলিশ বলছে, তাকে নাশকতার মামলায় আটক করা হয়েছে।  প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান খান দুপুর আড়াইটার দিকে উপশহরস্থ তার গাংচিল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসেছিলেন। এ সময় ডিবি পুলিশের এসআই নুর ইসলামের নেতৃত্বে একটি টিম মাইক্রোবাসে করে সেখানে গিয়ে তাকে আটক করে।
এ বিষয়ে জানতে ডিবি পুলিশের ওসি রুপন কুমার সরকারকে কয়েকদফা মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে আটককারী কর্মকর্তা এসআই নুর ইসলাম বলেন, গত ৩ ডিসেম্বর কোতয়ালি থানায় দায়ের করা ‘নাশকতার’ মামলায় মিজানুর রহমান খানকে আটক করা হয়েছে। অভিযানকালে ডিবি পুলিশের সাথে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতয়ালি থানা পুলিশের এসআই শরিফুল ইসলাম ছিলেন।
এদিকে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, যশোর চেম্বার অব কমার্সের আসন্ন নির্বাচনে শীর্ষ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছেন মিজানুর রহমান খান। তিনি নির্বাচনের মাঠেও রয়েছেন। তার প্রতিপক্ষ নির্বাচন থেকে তাকে দূরে সরিয়ে রাখতে প্রভাব খাটিয়ে পুলিশ দিয়ে তাকে আটক করিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মিজানুর রহমান খানকে আটকের প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বিকেলে প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিলো। তবে পরে তারা আর সংবাদ সম্মেলন করেননি।
আগামী ৭ জানুয়ারি যশোর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে দুটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। সম্মিলিত ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের প্যানেল নেতা মিজানুর রহমান খান। তার প্যানেলের সদস্যরা বলছেন, নির্বাচনকে বাঁধাগ্রস্থ করতে তাকে মিথ্যা মামলায় আটক করা হয়েছে।
যশোর চেম্বার অব কমার্সের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী সম্মিলিত ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের সদস্য শেখ আতিকুর রহমান বাবু অভিযোগ করে বলেন, গত ৮ বছর ধরে যশোর চেম্বারে ভোট হয়নি। প্রশাসক দিয়ে চলছে প্রতিষ্ঠানটি। কারা এতোদিন নির্বাচন করতে দেয়নি তা ব্যবসায়ীরা ভালো করে জানেন। আগামী ৭ জানুয়ারি ব্যবসায়ীদের প্রাণের সংগঠন চেম্বার অব কমার্সের ভোট। এই ভোটে আমাদের প্যানেল লিডার হলেন মিজানুর রহমান খান। তিনি যেন ভোটে নেতৃত্ব দিতে না পারেন সেজন্য তাকে পরিকল্পিতভাবে পুলিশ দিয়ে আটক করা হয়েছে। এটা সুষ্ঠু ভোটের জন্য চরম বাঁধা। এই আচরণে ব্যবসায়ী সমাজ ক্ষুব্ধ। আমরা ব্যবসায়ীরা চায় যশোর চেম্বার অব কমার্সের অবধ সুষ্ঠু ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচন। যেখানে ব্যবসায়ীরা তাদের প্রতিনিধি ঠিক করবেন। এভাবে পুলিশি বাঁধা কারো কাম্য নয়।
যশোর চেম্বারের নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ২১টি পদের বিপরীতে দু’টি প্যানেলে মোট ৫৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এরমধ্যে সাধারণে ৩৬ জন, সহযোগিতে ১৫ ও গ্রুপ সদস্য পদে জমা দিয়েছেন ২ জন। নির্বাচনে সম্মিলিত ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন যশোর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান খান ও যশোর ব্যবসায়ী ফোরামের নেতৃত্বে রয়েছেন সংস্থার সাবেক নির্বাহী সদস্য হুমায়ন কবীর কবু।