মণিরামপুরে বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রতারণাকালে ধরা ৪ যুবক

0

 

 

স্টাফ রিপোর্টার,মণিরামপুর(যশোর)॥ যশোরের মণিরামপুর পৌরশহরের সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে প্রতারণার অভিযোগে চার যুবককে আটক করা হয়। এ সময় তাদের ব্যাগ তল্লাশি করে মুখোশ, বিভিন্ন ধরনের চাবি, ভুয়া মেডিকেল সার্টিফিকেট ও প্রেসক্রিপশন উদ্ধার করা হয়। তাদেরকে আটক করা হলেও পুলিশে সোপর্দ না করে মুচলেকা আদায়ের পর তাদের অভিভাবকের জিম্মায় মুক্তি দেওয়া হয়। প্রতারক চার যুবক হলো নড়াইলের সদর উপজেলার শেখহাটি গ্রামের মৃত আনন্দ দাসের ছেলে প্রদীপ দাস, হরিপদ বিশ্বাসের ছেলে নয়ন বিশ্বাস, পরেশ বিশ্বাসের ছেলে মানিক বিশ্বাস ও যশোর সদর উপজেলার বাসুয়াড়ী গ্রামের কৃষ্ণ বিশ্বাসের ছেলে অনিক বিশ্বাস। অভিযোগে জানা যায়, চার যুবক রোববার সকাল ১০ টার দিকে মণিরামপুর সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এসে প্রধান শিক্ষককে জানান, দুরারোগ্যব্যাধীতে আক্রান্ত তাদের পিতা-মাতাকে অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না। ফলে পিতা-মাতার চিকিৎসার্থে প্রধান শিক্ষকের কাছে সাহায্যের আকুতি জানান। প্রধান শিক্ষক কুমার বিশ্বজিৎ তাদের কথা শুনে শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সাহার্য্য সংগ্রহের অনুমতি দেন। সে মোতাবেক ওই চার যুবক একটি শ্রেণিকক্ষের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রায় দেড় হাজার টাকা আদায় করে। এক পর্যায়ে তাদের আপত্তিকর গতিবিধি ও অসংলগ্ন কথাবার্তায় শিক্ষার্থীদের সন্দেহ হয়। তখন শিক্ষকরা তাদেরকে বসিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করতে থাকলে তারা পালানোর জন্য দৌড় দেয়। শিক্ষার্থীরা ধাওয়া দিয়ে এলাকাবাসীর সহায়তায় চার যুবককে আটক করে একটি কক্ষে আটকিয়ে রাখে। পরে খবর দিলে নড়াইল থেকে তাদের অভিভাবকরা বিকেল তিনটার দিকে মনিরামপুরে আসেন। অভিভাবকদের কাছ থেকে জানাযায়, ওই চার যুবকের পিতা-মাতা সুস্থ আছেন। তারা প্রতারনার মাধ্যমে টাকা সংগ্রহ করছিল। প্রধান শিক্ষক কুমার বিশ্বজিৎ জানান,বিকেলে চার যুবকের কাছ থেকে মুচলেকা আদায় করে তাদের অভিভাবকদের জিম্মায় মুক্তি দেওয়া হয়। তবে আটক চার প্রতারককে পুলিশে সোপর্দ না করে মুক্তি দেওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক জানান, পুলিশে সোপর্দ করতে হলে মামলা করা লাগত। মামলা করে স্বাক্ষী দেওয়া একটা অতিরিক্ত ঝামেলার হাত থেকে রেহাই পেতে তাদেরকে মুক্তি দেয়া হয়। থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) শেখ মনিরুজ্জামান জানান, আটক প্রতারকদের থানায় সোপর্দ করা উচিত ছিল।