চৌগাছায় কপোতাক্ষ নদ খননের বালি বিক্রির অভিযোগ

0

 

স্টাফ রিপোর্টার, চৌগাছা (যশোর) ॥ যশোরের চৌগাছায় কপোতাক্ষ নদ খননের সময় নদের তলদেশ থেকে উঠা বালি এক শ্রেণির অসাধু ব্যক্তি বিক্রি করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বালি বিক্রেতারা সরকারিদলের ছত্রছায়ায় থাকার কারণে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে এই কাজে মেতে উঠেছে। এলাকাবাসী বালি বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। সূত্র জানায়, বছরের পর বছর ধরে পলি জমে কপোতাক্ষ নদ মরা খালে পরিণত হয়। মরা খালে পরিণত সেই কপোতক্ষ নদ খননের উদ্যোগ নেয় সরকার। ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে চৌগাছার হুদাপাড়া নিচে হতে খনন কাজ শুরু হয়। উপজেলার তাহেরপুর ব্রিজ হতে মণিরামপুর উপজেলা পর্যন্ত প্রায় ৭৯ কিলোমিটার নদ খনন করা হবে বলে জানা গেছে। ইতোমধ্যে নদের বেশ কিছু এলাকাতে পূর্ণ খনন আবার কিছু কিছু এলাকায় নদের একপাশ খনন করা হয়েছে। বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার কারণে আপাতত খনন কাজ বন্ধ আছে। নদ খননের সময় নদের তলদেশ হতে যে বালি উঠেছে সেই বালি এক শ্রেণির অসাধু ব্যক্তি ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে অন্যত্র বিক্রি করে দিচ্ছে। বালি বিক্রেতারা অপেক্ষাকৃত ক্ষমতাধর হওয়ায় তারা সকল অনিয়মকে নিয়ম পরিণত করে এই কাজ করছে বলে জানান স্থানীয়রা।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ধুলিয়ানী ইউনিয়নের মুকুন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে নদ হতে উত্তোলিত বালি গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে রামভাদ্রপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে ফিরোজ হোসেন, একই গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে ইদ্রস আলী ও মুকুন্দপুর গ্রামের হবিবর রহমান ওরফে হবির ছেলে বুলবুলি প্রকাশ্যে জনসম্মুখে অন্যত্র বিক্রি করে দিচ্ছেন। উল্লেখিত ব্যক্তিদের সাথে স্থানীয় আরও অনেকেই জড়িত। সে কারণে গ্রামবাসী তাদের কিছুই বলতে সাহস পাচ্ছেন না। প্রতি দিনই ট্রাক ট্রাক বালি চলে যাচ্ছে অন্যত্র, ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন গ্রামবাসী। কোন উপায় না পেয়ে রোববার এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সুমন হোসেন বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে উল্লেখিত ব্যক্তিরা নদের বালি অন্যত্র বিক্রি করছে। আমি নিষেধ করা সত্ত্বেও তারা বালি বিক্রি অব্যাহত রেখেছে। বিষয়টি আমি নির্বাহী অফিসারকে জানাবো বললে তারা আমাকে দেখে নেয়ার জন্য প্রকাশ্যে হুমকি দেয়। হুমকির বিষয়ে তিনি থানায় জিডি করবেন বলে জানান। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) গুঞ্জন বিশ্বাসের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কপোতাক্ষ নদ খননের বালি বিক্রির বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। কিন্তু সেখানে বালির ট্রাক বা অন্যকিছু সরাঞ্জাম না পাওয়ায় কোন পদক্ষেপ নেয়া যায়নি। তবে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি তাদের বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছি। ঘটনার সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।