মহম্মদপুরের সফল খামারি জাকারিয়া

0

মহম্মদপুর (মাগুরা) সংবাদদাতা॥ গরুর খামার করে অর্থনৈতিক ভাবে সফলতা অর্জনের স্বপ্ন দেখে চলেছেন জাকারিয়া হাসান চুন্নু। তিন বছর ধরে গরু মোটাতাজাকরণ প্রকল্পে জাকারিয়া প্রায় আড়াইশ গরু বিক্রি করেছেন। এতে তিনি বেশ লাভবানও হয়েছেন। তবে বর্তমানে গোখাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় কিছুটা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে খামারিদের। জাকারিয়া মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা সদরের ধোয়াইল গ্রামের আবুল কালামের ছেলে। চার ভাই এক বোনের মধ্যে মেজো জাকারিয়া। জাকারিয়া হাসান জানান, পিতার সংসারের হাল ধরতে প্রথমে আমার বড় ভাই ছিদ্দিকুর রহমান বিদেশে যান। সংসারের চাহিদা মেটাতে আমিও সৌদি আরবে পাড়ি জমাই। দীর্ঘ ১৮ বছর প্রবাস জীবন কাটিয়ে বাড়ি আসি। বাড়ি এসে ইচ্ছা জাগে কিছু একটা করার। পরে আমার ছোটভাই পল্লী পশু চিকিৎসক জাহিদ হাসানের পরামর্শে গাভীর খামার করি। কিন্তু এতে লাভের পরিবর্তে লোকসানে পড়তে হয়। ফলে খামারের প্রকল্প পরিবর্তন করে গরু মোটাতাজাকরণ পদ্ধতি গ্রহণ করি। তিন বছরে দুইশ থেকে আড়াইশ এড়ে গরু বিক্রি করেছি। এতে বেশ লাভবানও হয়েছি। তবে বর্তমানে গরুর খাদ্য, মালের দাম বেড়ে যাওয়ায় কিছুটা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। সাময়িক সমস্যা হলেও পরবর্তীতে লাভবান হওয়া যাবে বলে আশা করছি। তবে মূলত নিজের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি অন্যেরও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে ভেবেই আমার এই উদ্যোগ। বিদেশে থাকালীন ১৮শতাংশ জমি ক্রয় করেন পাকা রাস্তার সাথে। কর্মসংস্থানের স্বপ্নকে কাজে লাগিয়ে নিজের ক্রয়কৃত জমিতে প্রায় ৩০টি গরু পালনের একটি গোয়াল ঘর তৈরি করে শুরু করি খামার বাড়ি। খামারে বর্তমানে ১২টি ষাঁড় রয়েছে। এর মধ্যে দুইটি ষাঁড় আগামী ঈদে বিক্রি হবে। যার দাম এখনিই প্রায় ৫ লাখ টাকা হয়েছে বলে জানান। ঈদের পরে আরো গরু বাড়ানোর ইচ্ছা রয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, গরুকে খাবার দিচ্ছে জাকারিয়া। তার খামারে বর্তমানে ১২টি ষাঁড় রয়েছে। গরুর পাশাপাশি মুরগী ও ছাগল পালন করছেন। ফাঁকা জায়গায় বিভিন্ন রকমের শাক-সবজি ও ফলমূলের গাছ। স্বপ্নের এই খামার বাড়ি থেকে আর্থিকভাবে বছরে মোটা অংকের টাকা আয় হয় জাকারিয়ার। সুন্দর পরিবেশে গরু মোটাতাজাকরণ পদ্ধতি ও খামার বাড়ি তৈরি করে জাকারিয়ার আর্থিকভাবে সফলতা অর্জন দেখে এলাকার তরুণ প্রজন্মসহ সকলেই গরু মোটাতাজাকরণ পদ্ধতি ও খামার বাড়ির দিকে ঝুঁকছে। জাহিদ হাসান বলেন, বড় ভাই বিদেশ থেকে এসে কিছুদিন পরে যখন কিছু একটা করার কথা ভাবেন, আমি তখন গরুর খামার করার পরামর্শ দেই। কারণ আমি যেহেতু পশু চিকিৎসক সুবিধা-অসুবিধায় ভাইকে সহযোগিতা করতে পারবো এ ভেবেই। এতে বড়ভাই সফলতা পেয়েছে ভেবেই ভালো লাগছে।