শ্যামনগরে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের ভয়ে আতংক

0

 

শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) সংবাদদাতা॥ সিডর,আইলা,বুলবুল,আমফান ইয়াসের পর এবার ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর লঘুচাপটি নিম্মচাপে পরিণত হচ্ছে। রোববার সকাল থেকে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপকূলীয় এলাকায় বাতাস ছাড়াই আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন। মাঝে মধ্যে হালকা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়ছিল। আবহাওয়া অধিদপ্তরে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর আঘাত ও নদীতে পানি বৃদ্ধির সংবাদ জানতে পেয়ে উপকূলীয় এলাকার মানুষের মাঝে ভয় ও আতংক বিরাজ করছে। ঘূনিণঝড় আইলা ও আমফানের ক্ষয়-ক্ষতি এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি উপকূলীয় মানুষেরা। এর মধ্যে আবার ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং।
গাবুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম বলেন,উপকূলীয় এলাকায় পাউবো’র বেড়িবাঁধগুলো জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। ঝড়ের প্রবল আঘাত এবং নদীতে পানি বৃদ্ধি পেলে আইলার মত আবারও উপকূলীয় জনপদ লন্ড-ভন্ড হওয়ার আশংকায় আতংকিত মানুষ। তিনি আরো জানান, গাবুরা, পদ্মপুকুর, বুড়িগোয়ালিনী, আটুলিয়া,কাশিমাড়ী,মুন্সিগঞ্জ ও কৈখালি ইউনিয়নের পাউবো’র বেড়িবাঁধগুলো ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। ঝড়ের প্রবল আঘাত ও নদীতে পানি বৃদ্ধি পেলে ইউনিয়নগুলোর পাউবো’র বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে পানিতে প্লাবিত হয়ে জান মালসহ হাজার হাজার চিংড়ি ঘের তলিয়ে গিয়ে কোটি কোটি টাকার চিংড়ি মাছ ভেঁসে যাবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আক্তার হোসেন বলেন, ঝড়ের র্পূবাভাস জানতে পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে প্রশাসন ও জন প্রতিনিধিদের নিয়ে মিটিং করেছেন। ঝড়ের আগে এবং পরে কি কি কাজ করতে হবে এ বিষয় প্রতিনিধিদের দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
শ্যামনগরে পাউবো কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন বলেন, গাবুরা, বুড়িগোয়ালিনী, আটুলিয়া,কাশিমাড়ীসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের পাউবো’র বেড়িবাঁধের র্দুবল জায়গাগুলোতে সংস্কার করা হচ্ছে।
বুড়িগোয়ালিনী বন স্টেশনের কর্মকর্তা নুরে আলম বলেন, ঝড়ের আগেই বন বিভাগের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিরাপদে থাকার জন্য বলা হয়েছে।