বন্ধ করে দেয়া হয় ট্রেনও, দুর্ভোগে খুলনাগামী মানুষ

0

 

 

স্টাফ রিপোটার ॥ শনিবার সকালে হঠাৎ যশোর থেকে খুলনা অভিমুখে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে এ অঞ্চলের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকলেও রেল যোগাযোগ শুক্রবার রাত পর্যন্তও স্বাভাবিক ছিলো। তবে কোনো ঘোষণা ছাড়াই শনিবার দুপুর পর্যন্ত যশোর থেকে কোনো ট্রেন চলাচল করেনি।
যশোর রেলওয়ে জংশন সূত্রে জানা গেছে, যশোর থেকে প্রতিদিন সকাল ১০ টা ২০ মিনিটে বেনাপোল কমিউটার এবং ১১ টায় সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস খুলনা যায়। এর মধ্যে শুধু সোমবার সাগরদাঁড়ি বন্ধ থাকে। তবে এদিন সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কোন ট্রেন খুলনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়নি।
সকাল ১১ টা ১৫ মিনিটের সময় যশোর জংশনে কথা হয় খুলনার ট্রেনের জন্য অপেক্ষমাণ আব্দুর রাজ্জাক খানের (৭০) সঙ্গে। তার বাড়ি যশোরের রূপদিয়া এলাকায়। বৃদ্ধ এই মানুষটি জানালেন, তিনি হার্টের রোগী। তার হার্টে ছিদ্র রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। আজই খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসক দেখানোর কথা রয়েছে। বাস বন্ধ থাকায় তিনি সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে যশোর স্টেশনে এসেছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন ট্রেনের দেখা পাননি। তিনি আক্ষেপ করে বলে বলেন, আমরা জনগন অহায়। সরকার তার স্বার্থে আমাদেরকে জিম্মি করে ফায়দা নিচ্ছে।
কথা হয় খুলনার ট্রেনের উদ্দেশ্যে অপেক্ষমাণ আরেক যাত্রী পারভীন বেগমের সঙ্গে। সাথে তার দুই কন্যা। বড় একটি ব্যাগ নিয়ে হতাশায় বসে আছেন স্টেশনে। তিনি জানালেন, খুলনার দৌলতপুরে তাদের বাড়ি। গতকাল শুক্রবার তার বোনের ছেলের বিয়ের জন্য কয়েক দিন আগে যশোর এসেছিলেন। তিনি বলেন, বাড়িতে জরুরি কাজ, আজই ফিরতে হবে। ওদিকে বাস বন্ধ। তাই স্টেশনে সকাল থেকেই বসে রয়েছি। টিকিট কাউন্টার থেকে বলছে ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক বলেন, খুলনার জনসভা বানচাল করতেই সরকার পরিকল্পিতভাবে পরিবহন বন্ধের পাশাপাশি ট্রেন বন্ধ করে দিয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন ঘটনা খুব কম যে কোনো সরকার তার বিরোধী রাজনৈতিক দলের কোনো কর্মসুচি বানচালে রেল যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এর মাধ্যমে সরকারের নৈতিক পরাজয় হয়েছে বলে তিনি মন্তব করেন।
এ ব্যাপারে যশোর রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার আয়নাল হাসান বলেন, ‘বেনাপোল কমিউটার ট্রেন ক্যানসেল করা হয়েছে। আর ইশ্বরদী স্টেশনে সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন ফেল করেছে। তবে কী কারণে বেনাপোল এক্সপ্রেস ক্যানসেল হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, সব বিষয় আমরা বলতে পারিনে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেন।