বেনাপোল ও সাতক্ষীরায় সোনার বার উদ্ধার আটক ২

0

 

বেনাপোল ও সাতক্ষীরা সংবাদদাতা॥ যশোরের বেনাপোল ও সাতক্ষীরার বৈকারী সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচারের সময় সোনার বার উদ্ধার হয়েছে। এসময় দুই জনকে আটক করা হয়।
বেনাপোলে চার পিস সোনার বারসহ দুই পাসপোর্ট যাত্রীকে আটক করেন কাস্টমসের শুল্ক গোয়েন্দার সদস্যরা।  মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে বেনাপোল চেকপোস্ট প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়েছে।
আটকরা হলেন শরীয়তপুরের পালং থানার চাতানিকানদি গ্রামের আব্দুল হালিমের ছেলে ইমাম হোসেন জীবন (২৪) এবং মুন্সীগঞ্জ সদরের ব্যাপারীবাড়ীর মাখন ব্যাপারীর ছেলে দুলাল হোসেন ব্যাপারী (৪৭)।
বেনাপোল কাস্টম হাউজের শুল্ক দফতরের সহকারী পরিচালক মনিরুজ্জামান চৌধুরী জানান, সোনা পাচারকারী সন্দেহে দুই জন পাসপোর্টধারী যাত্রীকে আটক করা হয়। পরে তাদের জেরা করে তল্লাশি করা হয়। তল্লাশিকালে তাদের মধ্যে ইমাম হোসেন জীবন স্বীকার করেন, তার পেটের ভেতর বিশেষ কায়দায় সোনা লুকানো রয়েছে। পরে এক্সরে করে পেটের ভেতর চার পিস সোনার বারের অস্তিত্ব পাওয়া যায় এবং তা উদ্ধার করা হয়। সোনার বারসহ জীবনকে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। দুলাল হোসেন ব্যাপারীর কাছে কিছু পাওয়া যায়নি। পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
সাতক্ষীরার বৈকারী সীমান্ত থেকে ১ কেজি ১৬০ গ্রাম ওজনের ১০ পিস সোনার বারসহ জুলফিকার আলী নামের এক চোরাচালানীকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার বৈকারী সীমান্ত বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিজিবি সদস্যরা সোনাসহ চোরাচালানীকে আটক করে। এ সময় জব্দ করা হয় তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটিও। জব্দ সোনাসহ মোটর সাইকেলের মূল্য ১ কোটি ৭৬ হাজার টাকা। তবে, ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেলেন এই সোনার মূল মালিকরা।
আটক চোরাচালানি জুলফিকার আলী (৪৪) সদর উপজেলার বৈকারী ইউনিয়নের খলিলনগর গ্রামের মৃত সলেমান মোল্লার ছেলে।
বিজিবি জানায়, সোনার একটি বড় চালান বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচার করা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবি বৈকারী বিওপির টহল কমান্ডার হাবিলদার সৈয়দ রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে বিজিবির একটি টহল দল সীমান্তের মেইন পিলার ৭ ও সাবপিলার ৪৯-এস হতে আনুমানিক ৬০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সদর উপজেলার বৈকারী বাজার এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় সেখান থেকে স্বর্ণ চোরাচালানি জুলফিকার আলীকে তার ব্যবহৃত হিরোহোন্ডা মোটরসাইকেলসহ আটক করা হয়। পরে তার দেহ তল্লাশী চালিয়ে একটি প্যাকেটে রক্ষিত ১০ পিচ স্বর্নের বার জব্দ করা হয়। জব্দ সোনার ওজন ১ কেজি ১৬০ গ্রাম। বিজিবি আরো জানায়, জব্দ স্বর্ণসহ মোটর সাইকেলের মূল্য ১ কোটি ৭৬ হাজার টাকা।
সাতক্ষীরা বিজিবি ৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ আল মাহমুদ এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আটক চোরাচালানি জুলফিকার আলীকে সদর থানায় সোপর্দ এবং সোনার বারগুলো সাতক্ষীরা ট্রেজারি অফিসে জমা দেয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। বিজিবির এই কর্মকর্তা আরো জানান, বৈকারী এলাকার হাসান ও হারুনের মালিকানাধীন এই সোনার বাহক ছিলেন আটক জুলফিকার। জিজ্ঞাসাবাদে বিজিবিকে এ তথ্য জানিয়েছেন আটক জুলফিকার।
সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান জানান, এ ঘটনায় বিজিবির হাবিলদার রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে জুলফিকার আলীর নাম উল্লেখসহ চোরাচালানি হাসান ও হারুনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। বিকেলে জুলফিকার আলীকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।