পুতিনের নতুন ঘোষণায় উদ্বেগে পশ্চিমা বিশ্ব

0

 

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো ‘সামরিক সংহতিকরণ’ বা সামরিক বাহিনীর সেনাসংখ্যা বাড়াতে সেনা সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছেন পুতিন। বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) থেকেই এ প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। রাশিয়ার অস্ত্র উৎপাদন বাড়ানোর জন্যও পুতিন বাড়তি অর্থ বরাদ্দের নির্দেশ দিয়েছেন।
পুতিনের এই ঘোষণায় প্রমাদ গুনছে পশ্চিমা বিশ্ব। আশঙ্কা করা হচ্ছে পুতিন হয়তো সেনা সংখ্যা বাড়িয়ে ইউক্রেনে যুদ্ধ আরো জোরদার করতে পারেন। এমনকি আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারেন।
সম্প্রতি রাশিয়ার দখলে থাকা একের পর এলাকা পুনরুদ্ধার করার পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অব্যাহতভাবে নানা হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিলেন। তার প্রেক্ষিতেই পুতিন এই ঘোষণা দিয়েছেন।
বুধবার জাতির উদ্দেশে দেয়া এক টেলিভিশন ভাষণে পুতিন বলেন, ‘যদি আমাদের দেশের আঞ্চলিক অখন্ডতা হুমকির মুখে পড়ে, আমরা আমাদের জনগণকে রক্ষা করার জন্য উপলব্ধ সব উপায় ব্যবহার করব’।
ইউরোপ রাশিয়াকে পরমাণু অস্ত্রের হুমকি দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, ‘পশ্চিমারা আমাদের দেশকে ধ্বংস করতে চায়। রাশিয়ার সঙ্গে ছায়া যুদ্ধ শুরু করেছে পশ্চিমা দেশগুলোর। এটি অব্যাহত থাকলে মস্কো তার বিশাল অস্ত্রাগারের সব শক্তি দিয়ে জবাব দেবে। আর জবাব দেয়ার জন্য রাশিয়ার কাছে পর্যাপ্ত অস্ত্র রয়েছে’।
পুতিনের এ ঘোষণার পর রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু জানান, আংশিক সংহতিকরণে প্রাথমিকভাবে সামরিক অভিজ্ঞতা আছে এমন প্রায় তিন লাখ রিজার্ভ সেনাকে ডাকা হবে।
পুতিনের নতুন এ ঘোষণার পর আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধের ঘোষণাও আসতে পারে এবং সেক্ষেত্রে সংঘাতের মাত্রা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে পুতিনের এ ঘোষণার পর নড়েচড়ে বসেছে পশ্চিমারাও। পুতিনের বক্তৃতার পরপরই তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ব্রিটিশ মন্ত্রী গিলিয়ান কিগান স্কাই নিউজকে বলেন, ‘পুতিনের মন্তব্যকে হালকাভাবে নেয়া উচিত নয়। স্পষ্টতই এটি এমন হুমকি যা আমাদের খুব গুরুত্ব সহকারে নেয়া উচিত।