সতীঘাটা বনায়ন সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

0

 

কুয়াদা (যশোর) সংবাদদাতা॥ যশোর-মনিরামপুর সড়কের সতীঘাটা-কুয়াদা সামাজিক বনায়ন সমিতির সভাপতি শহিদুল ইসলাম খোকার বিরুদ্ধে প্রতারণামূলকভাবে অর্থ আত্মসাথের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে মঙ্গলবার যশোর সদরের কুয়াদা বাজুয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত. হোসেন আলী গাজীর ছেলে জি.এম শাহিন ও সতীঘাটা কামালপুর গ্রামের মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে মামুন কবির জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
সূত্রে জানাগেছে, ২০০৩ সালের ১৩জুন সতীঘাটা-কুয়াদা সড়ক পর্যন্ত সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির আওতায় বৃক্ষরোপণ ও সংরক্ষণের জন্যে ৩০ সদস্য বিশিষ্ট উপকারভোগীর কমিটি গঠন হয়। কমিটির রেজুলেশনে উপকারভোগীর তালিকায় জি.এম. শাহিন এবং মামুন কবিরের নাম অন্তর্ভক্ত হয়। কিন্তু যশোর সামাজিক বন বিভাগ অফিস আদেশ নং-২১/শেয়ার বিতরণ ২০২২ সালের ৩১ জুলাই উপকারভোগীর সংখ্যা ৩২ জন উল্লেখ করা হয়। এতে উপকারভোগীর জনপ্রতি শেয়ার নগদ ৩৩ হাজার ৩৪ টাকা বরাদ্দ হয়। কিন্তু ৩২ জনের নামের তালিকায় বর্ণিত দুই জন শাহিন ও মামুনের নাম বাদ রেখে নতুন ৪ জনের নাম সংযুক্ত করা হয়। আবেদনকারীদের দাবি এপি সম্পূর্ণ নিয়ম বহির্ভূত।
সভাপতি দরিদ্র দু’জন সদস্যের নাম বাদ দিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যোগসাজসে ৪ জনের নাম যুক্ত করে তালিকা করা হয়েছে মর্মে তারা অভিযোগ করেন। তালিকায় কামালপুর গ্রামের শহিদ মোহাম্মদ উল্লাহ ছেলে সভাপতি শহিদুল ইসলাম খোকার মেয়ে শাহানারা খাতুন, ভাবি কেয়া বেগম, বন্ধু আফসার মৃধা এবং রামনগর গ্রামের মৃত মেহেদী হাসানের নাম যুক্ত করা হয়েছে বলে তার লিখিত অভিযোগে জানান। ওই ৪ জনের অ্যাকাউন্ট দেখিয়ে ১ লাখ ৩২ হাজার ১৩৬ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। একই কারণে ভুক্তভোগী সদস্য জি.এম শাহিন ও মামুন কবির উপকারভোগীর টাকা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
এ ব্যপারে সভাপতি শহিদুল ইসলাম খোকার মোবাইল নম্বরে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি পরে কথা বলবেন বলে জানান। সামাজিক বন বিভাগ যশোরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল খালেকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।