যেকোনো মূল্যে মাকে খুঁজে পেতে চাই

0

 

খুলনা ব্যুরো॥ ‘গত ১৪টা দিন ধরে আমি ঘুমাতে পারছি না। মা কি বেঁচে আছেন? বেঁচে থাকলে খেয়ে আছেন? নাকি না খেয়ে আছেন? না মারা গেছেন?’
নিখোঁজ রহিমা বেগমের একমাত্র ছেলে এম এ সাদী কথাগুলো বলছিলেন কান্নাজড়িত কণ্ঠে। নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়েছেন মা। এর মধ্যে পেরিয়ে গেছে ১৫ দিন। মায়ের সন্ধানের দাবিতে তাই খুলনা প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজন করা হয় মানববন্ধনের। সেখানে আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। মাকে ফিরে পাওয়ার আকুতি জানান পাঁচ সন্তান। তাদের পাশে ছিলেন এলাকাবাসী।
শুক্রবারের এই মানববন্ধনে মেয়ে মরিয়ম বলেন, ‘আমরা যেকোনো মূল্যে আমাদের মাকে খুঁজে পেতে চাই। সরকারের কাছে এবং প্রশাসনের কাছে আমার একটাই অনুরোধ আমার মাকে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দিন।’
একমাত্র ছেলে এম এ সাদী বলেন, ‘গত ১৪টা দিন ধরে আমি ঘুমাতে পারছি না। মা কি বেঁচে আছেন? বেঁচে থাকলে খেয়ে আছেন? নাকি না খেয়ে আছেন? না মারা গেছেন? আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না। সরকারের কাছে আমার আকুল আবেদন, আমার মাকে ফিরিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করুন। আমরা আমাদের মাকে দেখতে চাই।’
গত ২৭ আগস্ট রাতে খুলনা মহানগরীর দৌলতপুর থানার মহেশ্বরপাশা এলাকায় নিজ বাড়ির নিচতলায় পানি নেয়ার জন্য বের হন রহিমা খাতুন। এরপর আর ঘরে ফেরেননি। ওই রাতেই পরিবারের সদস্যরা সম্ভাব্য আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে খোঁজ নিয়ে তাকে না পেয়ে দৌলতপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরদিন ২৮ আগস্ট অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মেয়ে আদুরী খাতুন দৌলতপুর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। দৌলতপুর থানা পুলিশ ইতোমধ্যে সন্দেহভাজন পাঁচজনকে আটক করে রিমান্ডে নিয়েছে। কিন্তু এখনো নিখোঁজের কোনো কুলকিনারা পাওয়া যায়নি বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।
নিখোঁজ রহিমা বেগমের পরিবারের একটি সূত্র জানায়, এক বছর আগে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হন রহিমা বেগম এবং তার এক কন্যা।