ধাওয়া করে ইজিবাইকের ভেতরে ফেলে হত্যা যশোরে, আটক ১

0

 

স্টাফ রিপোর্টার ॥  রোববার বিকেলে যশোরের চাঁচড়া চেকপোস্ট এলাকায় অজ্ঞাত (২০) পরিচয় এক যুবক দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন। ধাওয়া করে ধরে ইজিবাইকের ভেতর নিয়ে তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছিলো। শুধু তাই নয়, ছুরিকাঘাতের পর ওই দুর্বৃত্তরা ইজিবাইকে করে তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং সেখানে রেখে পালিয়ে যায়। পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত অন্তর নামে এক জনকে আটক করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী একজন ইজিবাইকচালক জানান, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কয়েকজন দুর্বৃত্ত অজ্ঞাত পরিচয় ওই যুবককে চাঁচড়া চেকপোস্ট এলাকার নিউ ঢাকা হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের সামনে থেকে ধাওয়া করে ধরে একটি ইজিবাইকের ভেতরে নেয়। সেখানে দুর্বৃত্তদের সাথে তার ধস্তাধস্তি হয়। এ সময় দুর্র্বৃত্তদের একজন যুবকের বামপায়ের হাটুর পাশে ছুরিকাঘাত করে। এরপর ওই অবস্থায় তারাই আবার তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। তড়িঘড়ি করে তাকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রেখে রেখে পালিয়ে যায়।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্মরত তারক চন্দ্র নাথ জানান, সাথে ৩ জন থাকলেও বহনকারী হিসেবে এক যুবক তার নাম বলে ইমরান। ইমরান উপশহর এলাকার ইকরামুল ইসলামের ছেলে। বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে তারা অজ্ঞাত পরিচয় ওই যুবককে গুরুতর অবস্থায় নিয়ে আসে।
জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আহমেদ তারেক শামস জানান, যুবককে মৃত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছিলো। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
কোতয়ালি থানা পুলিশের ওসি মো. তাজুল ইসলাম বলেন, অর্থসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ওই যুবককে হত্যা করা হয়েছে বলে তারা জানতে পেরেছেন। ইমরান নামে এক দুর্বৃত্তদের সাথে তার লেনদেন ছিলো এমন কথা শোনা যাচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে অন্তর নামে তারা একজনকে আটক করেছেন। তার বাড়ি সদর উপজেলার বিরামপুরে।
বিরামপুর এলাকার একটি সূত্র জানায়, আটক অন্তর বিরামপুর কালীতলা এলাকার অনিলের ছেলে। হত্যার ঘটনায় অন্তর, ইমরান, ইব্রাহিম, আলামিন ও সুজন জড়িত। এদের সকলের বাড়ি বিরামপুর কালীতলা এলাকায়। সূত্র জানায়, সুজন এলাকার আসলামের ছেলে, ইব্রাহিম একই এলাকার ইমদাদের ছেলে। সূত্র আরো জানায়, দুর্র্বৃত্তরা সকলেই এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। তবে পরিবারের সদস্যরা থাকলেও তাদের কাউকে বাড়িতে দেখা যাচ্ছে না।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক অন্তর তার উল্লিখিত সঙ্গীদের নাম পুলিশকে জানিয়েছে। তার ভাষ্য, ইমরান তাদেরকে জানিয়েছিলো সে ওই যুবকের কাছে টাকা পাবে।